জাপানের হারে মেঘে ঢাকা পড়লো এশিয়ার আশার সূর্য!
জাপানকে বলা হয় সূর্যদয়ের দেশ, তাদের দাপুটে শুরুতে আশার সূর্য ওঠে এশিয়ার ফুটবলেও। পরাশক্তি জার্মানিকে হারিয়ে প্রত্যাশার বেলুণ ফুলিয়ে তোলেন ব্লু সামুরাইরা। কোস্টারিকার বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করায় দৃষ্টি ছিল জাপানের। আত্মবিশ্বাসের টইটুম্বুর দেশটি মাঠে লড়েও চোখ চোখ রেখে, দাপট দেখায় তারাই। কিন্তু তা যথেষ্ট হলো না, শেষ মুহূর্তের গোলে হৃদয় ভাঙলো এশিয়ার দেশটির।
রোববার কাতারের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে 'ই' গ্রুপের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে কোস্টারিকার বিপক্ষ ১-০ গেলে হেরেছে জাপান। মধ্য আমেরিকা অঞ্চলের দেশটির পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন কেশার ফুলার।
হারলেও পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান আগের মতোই দুই নম্বরে আছে জাপানের। জয় পাওয়া কেস্টারিকা সমান নতিন পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে তিন নম্বরে, বিশাল জয় পাওয় স্পেন শীর্ষে। এই হারে শেষ ষোলোর পথ কঠিন হয়ে উঠলো জাপানের। পরের রাউন্ডে যেতে শেষ ম্যাচে স্পেনকে হারাতেই হবে, তবে ড্র করলেও ক্ষীণ সম্ভাবনা থাকবে।
পুরো ম্যাচে জাপানই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে। বল দখল থেকে আক্রমণ সাজানো; সবখানে এগিয়ে ছিল তারা। ৫৭ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখা দলটি গোলমুখে ১৩টি শট নেয়, এর মধ্যে ৩টি লক্ষ্যে ছিল। ৪৩ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা কোস্টারিকার ৪টি শটের একটি ছিল লক্ষ্যে। এই একটিতেই জয়ের হাসি ওঠে তাদের মুখে।
এশিয়া থেকে জাপানই সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল, এই হারে পথ কঠিন হলো পরের রাউন্ডের। এশিয়া অঞ্চল থেকে শেষ ষোলোতে ওঠার সম্ভাবনা আছে সৌদি আরব ও ইরানের। দুই দলই একটি করে ম্যাচ জিতেছে, একটিতে হেরেছে। পরের রাউন্ডের রেসে থাকলেও তাদের জন্য পথটা বেশ কঠিন।
কারণ শেষ ম্যাচে সৌদির প্রতিপক্ষ মেক্সিকো এবং ইরানের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র। যাদের বিপক্ষে জেতাটা কষ্ঠসাধ্য সৌদি ও ইরানের জন্য। আলোচনায় আছে দক্ষিণ কোরিয়াও, যারা প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে ড্র করেছে। ঘানার বিপক্ষে ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করবে দক্ষিণ কোরিয়ার শেষ ষোলোর ভাগ্য।