‘অনেকের কাছেই ফ্রান্স ফেবারিট, কিন্তু আমাদের বিশ্বসেরা খেলোয়াড় আছে’
গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ও সেমি-ফাইনাল পেরিয়ে পাওয়া গেছে কাতার বিশ্বকাপের সেরা দুই দল; আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। এই ম্যাচের জন্য অপেক্ষার প্রহরও প্রায় শেষ। একদিন পরই শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দেশ দুটি। শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জেতার লড়াইয়ে অনেকের চোখেই ফ্রান্স এগিয়ে। এটা মেনে নিচ্ছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসও। কিন্তু তিনি এটাও জানিয়ে রেখেছেন, তাদের দলে আছে বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি।
১৮ ডিসেম্বর কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শিরোপার লড়াই শুরু হবে। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে মাঠে নামার আগেরদিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অনেক বিষয় নিয়েই কথা বলেন এমিলিয়ানো। নিজের অধ্যাবসায়, মনোভাব, মানুষের ভালোবাসা-সমর্থন, প্রতিপক্ষ নিয়ে অনেকক্ষণ কথা বলেন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার এই জয়ের নায়ক।
বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়ে শুরুতেই এমিলিয়ানো বলেন, 'বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠাটা পাগলাটে ব্যাপার। সৌদি আরবের বিপক্ষে হার দিয়ে আমরা শুরু করলেও প্রতি ম্যাচেই আমরা উন্নতি করেছি। কঠিন পথ ছিল, কিন্তু আমরা বলেছি দেশকে খারাপ অবস্থায় রেখে আমরা কোথাও যাচ্ছি না এবং আমরা বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে চাই।'
নিজের কঠিন পথচলা নিয়ে তিনি বলেন, 'এখানে পৌঁছাতে আমাকে কতোটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে, সেটা ভাবাটাও খুব কঠিন। আমি জীবনভরই একজন যোদ্ধা। গোল রক্ষা করার জন্য সমস্ত আর্জেন্টাইনকে সঙ্গে পাওয়াটা খুবই আবেগপূর্ণ ব্যাপার। তবে আমি যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন আমি ঠান্ডা মাথায় থাকি।'
ফ্রান্সকে অনেকে ফেবারিট মানলেও তাতে সমস্যা দেখছেন না এমিলিয়ানো, বাকি সবার মতো তিনিও ভরসা রাখছেন মেসির ওপর। এমিলিয়ানোর ভাষায়, 'আমরা ফ্রান্সের দিকে নজর রেখেছিলাম, কারণ শেষ ষোলোতে তারাও আমাদের প্রতিপক্ষ হতে পারতো। তাদের রক্ষভাগ দারুণ এবং ভয়ঙ্কর চারজন ফরোয়ার্ড আছে। তাদের একটি ব্যাপার ভালো লাগে, তারা বলে অন্যরা ফেবারিট। আর আমরা কাউকে ছোট করে দেখি না। আমরা যখন ব্রাজিলে খেলতে যাই, তারা তখন ফেবারিট ছিল। এখন অনেকের কাছেই ফ্রান্স ফেবারিট, কিন্তু আমাদের বিশ্বসেরা (লিওনেল মেসি) খেলোয়াড় আছে।'
কাতারে আর্জেন্টাইন ভক্ত-সমর্থকের সংখ্যা কম নয়। তাদের দেখে এমিলিয়ানোর মনে হচ্ছে তিনি আর্জেন্টিনাতেই আছেন। ব্যাপারটি অনেক বড় পাওয়া জানিয়ে তারকা এই গোলরক্ষক বলেন, 'এখানে আমরা বাড়ির মতোই অনুভব করছি, সব মানুষকে কাছের মনে হচ্ছে। এটা অনেক বড় সুবিধা।'
আর্জেন্টিনা গেলে কেমন সময় কাটে, তা নিয়েও কথা বলেন এমিলিয়ানো। তিনি বলেন, 'আমি খুবই সাধারণ মানুষ। ভালো সময়ে আমি আমার মেজাজ হারাই না, খারাপ সময়ে হতাশ হয়ে পড়ি না। আমি যখন আর্জেন্টিনা থাকি, মানুষের সাথে ছবি তুলতেই সময় চলে যায়। সবাই সব সময় ছবি তোলার কথা বলে। আমি সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মাইনি এবং আমি সেটার মূল্যায়ন করি।'