মুকিদুল তোপের পর রাসেল ঝড়, সাকিবদের হারিয়ে কুমিল্লার রেকর্ড
লক্ষ্য বড় ছিলো না, কিন্তু সেটা পাড়ি দেওয়াই কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জন্য। বল ও রানের ব্যবধান বাড়তে থাকে ক্রমেই। কিন্তু এই ব্যবধান থাকেনি, মুহূর্তেই সব হিসেব পাল্টে দেন আন্দ্রে রাসেল। ঢাকা এসেই ২২ গজে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার দলকে জয় এনে দেন ৯ বল হাতে রেখেই। আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করা কুমিল্লার এটা টানা অষ্টম জয়, যা বিপিএলের রেকর্ড।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা। মধুর প্রতিশোধই নিলো বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা, আসরে আগের সাক্ষাতে সাকিব আল হাসানের দলের বিপক্ষে হেরেছিল কুমিল্লা। প্রথম তিন ম্যাচে হার মানা কুমিল্লা টানা আট ম্যাচ জিতে রেকর্ড গড়লো। বিপিএলের ইতিহাসে কোনো দল টানা এতোগুলো ম্যাচ জেতেনি।
১১ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে আছে কুমিল্লা। সমান ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের পয়েন্টও ১৬। কিন্তু রান রেটে এগিয়ে থাকায় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল শীর্ষস্থানেই আছে। ১১ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিন নম্বর দল ফরচুন বরিশাল। ১০ ফেব্রুয়ারি শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ খুলনা টাইগার্স।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে ফরচুন বরিশাল। ৫ উইকেট নেওয়া ম্যাচসেরা মকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, মুস্তাফিজুর রহমান, সুনিল নারিনদের বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারেনি তারা। সাকিবের দল ১৯.১ ওভারে ১২১ রানে অলআউট হয়ে যায়। ছোট লক্ষ্যে দিক হারালেও শেষ দিকে ঝড় তুলে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন রাসেল, তাকে ভালোই সঙ্গ দেন খুশদিল শাহ।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ১৬ রানেই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারায় কুমিল্লা। লিটন কুমার দাসের সঙ্গে কিছুটা সময় ব্যাট চালালেও থিতু হতে পারেননি জাকের আলী। ১০ রান করে আউট হন তিনি। এরপর দ্রুতই ফিরে যান অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এক পাশ আগলে খেলে যাওয়া লিটন ৩৯ বলে ৫টি চারে ৩৬ রান করে আউট হলে বিপাকে পড়ে কুমিল্লা।
যদিও দলকে কোনো চাপই বুঝতে দেননি আন্দ্রে রাসেল ও খুশদিল শাহ। উইকেটে গিয়েই তাণ্ডব চালানো রাসেল ১৬ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ৩০ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান। খুশদিল ১৯ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের এবাদত ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ ওয়াসিম, সাকিব আল হাসান ও খালেদ আহমেদ।
এর আগে ব্যাটিং করা বরিশাল পুরো ইনিংস ধরেই ধুঁকেছে। তাদের মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন। ২৬ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৬ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩২ রান আসে করিম জানাতের ব্যাট থেকে। মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ১৭ রান। বাকি ৮ ব্যাটসম্যানের কেউ-ই ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করা মুকিদুল ৩.১ ওভারে ২৩ রানে ৫ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান রাসেল, তানভীর ও মুস্তাফিজ।