সিলেটকে আরেকটি হারের যন্ত্রণা দিয়ে প্লে-অফে চিটাগং
এক দলের হারানোর কিছুই ছিল না, নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। অন্য দলের কাছে মহাগুরুত্বপূর্ণ, জিতলেই মিলবে প্লে-অফের টিকেট। এমন ম্যাচে লড়াইটা হলো একপেশে। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে সিলেট স্ট্রইকার্সকে পাত্তাই দিলো চিটাগং কিংস। সাত নম্বর জয় তুলে নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লে-অফ নিশ্চিত করলো মোহাম্মদ মিঠুনের দল। আসরজুড়ে হতাশার গল্প লেখা সিলেটের শেষটাও হলো হারের যন্ত্রণায়।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৯৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে চিটাগং কিংস। ১১ ম্যাচে সাত জয়ে তাদের ঝুলিতে ১৪ পয়েন্ট, তালিকার তিন নম্বর দল তারা। তবে প্লে-অফ নিশ্চিত করা দলটির সুযোগ আছে দুই নম্বর দল হওয়ারও। শেষ ম্যাচে জিতলে রংপুর রাইডার্সের সমান ১৬ পয়েন্ট হবে তাদের, তবে রান রেটে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয় স্থান মিলবে তাদের। ১২ ম্যাচে দুই জয়ে তলানির দল হিসেবে বিপিএল মিশন শেষ করলো সিলেট স্ট্রাইকার্স।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে চিটাগং কিংস। ওপেনার খাওয়াজা নাফে ও অধিনায়ক মিঠুনের হাফ সেঞ্চুরির পর শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও পেসার খালেদ আহমেদের ব্যাটে ৮ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে তারা। জবাবে শুরুতেই দিক হারানো সিলেট পুরো ইনিংস ধরে ধুঁকেছে। চিটাগংয়ের দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও খালেদের তোপের মুখে ১৫.২ ওভারে ১০০ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় চরম দুর্দশার ব্যাটিং করে সিলেট। দলটির কেউ ২০ রানের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি, পাঁচ জন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন। ১২ বলে সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন জাকির হাসান। রনি তালুকদার ১৭, জাকের আলী অনিক ১৭, নাহিদুল ইসলাম ১৪ ও অধিনায়ক আরিফুল হক ১১ রান করেন। আগুনে বোলিং করা চিটাগংয়ের ম্যাচসেরা শরিফুল ৩.২ ওভারে মাত্র ৫ রানে ৪ উইকেট নেন, এই ফরম্যাটে এটাই তার সেরা বোলিং। ৩ ওভারে ৩১ রানে ৪টি উইকেট নেন খালেদ। একটি উইকেট পান রাহাতুল ফেরদৌস।
এর আগে ব্যাটিং করা চিটাগংয়ের রান চাকা সবচেয়ে দ্রুত ঘুরিয়েছেন খাওয়াজা নাফে। পাকিস্তানের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩০ বলে একটি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫২ রান করেন। মিঠুনও করেন ৫২ রান, তার ৩৮ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শামীম ২৩ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন ৩৮ রান। ১৩ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় অপরাজিত ২৫ রান করেন খালেদ। সিলেটের পেসার তানজিম হাসান সাকিব ৩টি উইকেট নেন। রুয়েল মিয়া ও সামিউল্লাহ শিনওয়ারি পান ২টি করে উইকেট। একটি উইকেট নেন সুমন খান।