চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: বার্নাব্যুর দুঃস্মৃতি মুছতে পারবে সিটি?
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অবিসংবাদিত রাজা রিয়াল মাদ্রিদ। গত মৌসুমে তো একের পর এক ফিরে আসার গল্প লিখে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নই হয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে সেমি-ফাইনালে রিয়ালের দেখা হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটির সাথে।
সেই একই সেমি-ফাইনালে আবারো মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। গতবার প্রথম লেগ হয়েছিল সিটির মাঠে, তবে এবার প্রথম লেগ রিয়ালের মাঠে। গত মৌসুমে এই বার্নাব্যুতেই দুই লেগ মিলিয়ে সিটি ৫-৩ গোলে এগিয়ে থেকে ফাইনালে যাবে যাবে করছিলো, তখনই আঘাত হেনে সিটির স্বপ্ন ভেঙে দেন রদ্রিগো-বেনজেমারা।
গতবারের চাইতে এবারের পরিস্থিতিও দুই দলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন। গতবার লা লিগা চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল রিয়াল। তবে এবার তারা লিগ শিরোপা হারাতে যাচ্ছে বার্সেলোনার কাছে। যদিও তিনদিন আগেই কোপা দেল রের শিরোপা জিতেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সিটির মুখোমুখি হওয়ার আগে উজ্জ্বীবিত রিয়াল শিবির।
অপরদিকে ম্যানচেস্টার সিটি ছুটছে ঐতিহাসিক 'ট্রেবল'র পেছন। প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে এক পয়েন্টে এগিয়ে আছে গার্দিওলার দল। এফএ কাপের ফাইনালে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই মৌসুমে সিটি আছে ভয়ংকর রূপে।
যার অন্যতম কারণ আর্লিং হলান্ড। সিটির হয়ে এটিই তার প্রথম মৌসুম, আর এসেই বাজিমাত করেছেন এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। সব মিলিয়ে ৫১ গোল করেছেন চলতি মৌসুমে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মাত্র ৮ ম্যাচ খেলেই করেছেন ১২ গোল। এর আগের মৌসুম গুলোতে সিটি যেটির অভাব বোধ করছিলো, সেটি পূরণ করে দিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার।
সব মিলিয়ে সিটিকেই ফেভারিটের তকমা দিচ্ছেন অনেকে। ওয়েইন রুনিই যেমন বলেছেন, রিয়ালকে বিধ্বস্ত করে জিতবে গার্দিওলার দল। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, প্রতিপক্ষের নাম রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপের অবিসংবাদিত রাজাদের কখনোই হিসাবের বাইরে রাখার ভুল করা যাবে না। সিটিও নিশ্চয়ই গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বেনজেমা-ভিনিশিয়ুসদের আটাকানোর পরিকল্পনাটা আরো ভালোভাবেই করবে।
জমজমাট এক লড়াই দেখার প্রত্যাশায় ফুটবল প্রেমিরা। ইউরোপের চলতি মৌসুমের অন্যতম সেরা দুই দলের ফাইনালে ওঠার এই যুদ্ধ নিশ্চয়ই হতাশ করবে না।