আফগানিস্তান সিরিজে ছুটিতে মাহমুদউল্লাহ
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন প্রায় দুই বছর হতে চললো। টি-টোয়েন্টিতে তাকে সেভাবে বিবেচনা করা হয় না, গত দুই সিরিজে দলে জায়গা পাননি তিনি। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার কেবল ওয়ানডেতে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন। এই ফরম্যাটেও অবশ্য সম্প্রতি দলে জায়গা হচ্ছে না তার। সর্বশেষ দুটি সিরিজে তাকে বিশ্রামে রাখে বিসিবি। এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলে থাকার সম্ভাবনা থাকলেও মাহমুদউল্লাহ নিজেই এই সিরিজ থেকে ছুটির আবেদন করেছেন, যা ইতোমধ্যে মঞ্জুর করেছে বিসিবি।
হজ পালন করতে সৌদি আরব যাবেন মাহমুদউল্লাহ। এ কারণে ২২ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ছুটির আবেদন করেন তিনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ৫ জুলাই। দেশে ফিরে ক্যাম্পে যোগ দিলেও পরের দুটি ওয়ানডে খেলা মাহমুদউল্লাহর জন্য কঠিন। এ কারণে তাকে ছাড়াই ওয়ানডে দল সাজানোর পরিকল্পনা বিসিবির।
সোমবার মিরপুরে সাংবাদিকদের এমনই জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, 'রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) আমাদের কাছে আবেদন করেছে, সে হজে যাচ্ছে। ২২ জুন থেকে ৫ জুলাই হজে থাকবে। আমরা সেটা অনুমোদন দিয়েছি। হজের পর সে ক্যাম্পে যোগ দেবে। ওয়ানডে সিরিজ সে মিস করবে। প্রথম ম্যাচই ৫ জুলাই।'
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের প্রিয় ফরম্যাটের বিশ্ব আসরের দলে মাহমুদউল্লাহর থাকা না থাকা নিয়ে অনেক আলোচনা আছে। এমন সময়ে কোনো সিরিজে না থাকাটা বিশ্বকাপ দলে তার অন্তর্ভূক্তিতে প্রভাব ফেলা বা দলে জায়গা পাওয়াটা তার জন্য কঠিন হবে কিনা জানতে চাইলে জালাল ইউনুস জানান, এখানে কোনো সমস্যা দেখেন না তিনি।
বিসিবির এই পরিচালক বলেন, 'দেখুন, এটা খুব স্পর্শকাতর ইস্যু। সে হজ পালন করতে চাচ্ছে, আমরা সবাই চাই। এখানে সবাইকে আপোস করতেই হবে। হজ পালন করা আমাদের মুসলমানদের জন্য ফরজ। সে একটা ফরজ কাজ করতে যাচ্ছে, সেখানে তো অবশ্যই আমাদেরও সাপোর্ট দিতে হবে, বিবেচনায় নিতে হবে। সেদিক থেকে তার হ্যাম্পার হওয়ার কথা নয়। নির্বাচিত হবে নাকি হবে না, এটা তো নির্বাচকরাই বলে দেবেন। তবে এটার জন্য (হজ) ওটার কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।'
একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলতে আগামী ১০ জুন বাংলাদেশে আসবে আফগানিস্তান। একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ১৪ জুন। টেস্ট ম্যাচ শেষে নিজেদের হোম ভেন্যু ভারতের দেরাদুনে ফিরে যাবে আফগানিস্তান। ১১ দিনের বিরতির পর ১ জুলাই আবারও বাংলাদেশে আসবে তারা।
৫ জুলাই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ওয়ানডে। পরের দুই ওয়ানডে একই ভেন্যুতে ৮ ও ১১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ওয়ানডে সিরিজ শেষ করে ১২ জুলাই সিলেট যাবে সফরকারীরা। ১৪ জুলাই প্রথম টি-টোয়েন্টি ও দ্বিতীয়টি ১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।