ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে পারে বাংলাদেশ
২০ বছরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৪টি টেস্ট ইংলিশদের মাটিতে খেলেছে তারা, সর্বশেষটি ২০১০ সালে। ক্রিকেটের জনক দেশটিতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত কোনো টেস্ট নেই বাংলাদেশের। এরপরও আগামী দুই বছরের মধ্যে ক্রিকেটের তীর্থ লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে পারে বাংলাদেশ।
এই সম্ভাবনা জেগেছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) উদ্যোগের কারণে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের এক খবরে বলা হয়েছে, আইসিসির এফটিপির বাইরে জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশকে নিজেদের মাটিতে টেস্ট খেলার আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা আছে ইসিবির।
২০২৪ ও ২০২৫ সালে ইংলিশ গ্রীষ্মে এফটিপিতে খুব বেশি ম্যাচ নেই, ৫টি করে টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা তাদের। ম্যাচের সংখ্যা কম থাকায় ফাঁকা সময় বের করা সম্ভব, এই সময়েই জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর ইচ্ছা ইসিবির। যদিও ২০২৪ সালে ইংলিশ গ্রীস্মের সময়ই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। এরপরও ফাঁকা সময়ের সন্ধানে ইসিবি।
দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, দুই বছরে ইংল্যান্ড একটি করে বাড়তি টেস্ট খেলতে পারে জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশের বিপক্ষে। টেস্ট ক্রিকেটকে সুরক্ষিত করাসহ জনপ্রিয়তা বাড়ানো ও এই ফরম্যাটের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে এমন উদ্যোগের কথা ভাবছে ইসিবি।
টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ইংল্যান্ডের মাটিতে দুটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ২০০৫ ও ২০১০ সালের সফরের পর দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশকে আর আমন্ত্রণ জানায়নি ইংলিশরা। জিম্বাবুয়ে খেলেছে আরও আগে, সর্বশেষ ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে তারা। ২০০৪ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে কোনো ধরনের ক্রিকেটই খেলেনি দেশটি। বাংলাদেশ অবশ্য ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলে।
লর্ডসে প্রতি বছর অন্তত দুটি করে টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের চুক্তি আছে। করোনার প্রকোপের কারণে ২০২০ সালে ছাড়া ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর দুটি করে টেস্ট হয়ে আসছে। এই ধারায় থাকতে চায় আয়োজকরা।
লর্ডস স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান নির্বাহী গাই ল্যাভেন্ডার টেলিগ্রাফকে বলেছেন, '২০২৪ সালেও লর্ডসে দুটি টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করতে আমরা মুখিয়ে আছি প্রবলভাবে। অসাধারণ এই ভেন্যুর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং খেলাটির সমৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট অর্থের জোগান পেতে হলেও আমরা মনে করি, সামনের সময়টাতেও বছরে দুটি করে টেস্ট এখানে আয়োজনের উল্লেখযোগ্য যৌক্তিকতা আছে।'