ঈগলসকে হারিয়ে এফসি কাপের প্লে-অফে আবাহনী
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়লো মাঠে। কর্দমাক্ত মাঠে ছন্দময় ফুটবল খেলতে পারলো না কোনো দলই, উল্টো বলের নিয়ন্ত্রণ নিতেই বেগ পোহাতে হলো। এর মাঝেও অবশ্য এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা টেনে ম্যাচ জমিয়ে তোলে মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলস। কিন্তু শেষ বেলায় নায়েক হয়ে হাজির দানিলো কুইপা, দারুণ হেডে গোল করে আবাহনীকে জয়ের আনন্দে মাতালেন ব্রাজিলিয়ান এই ডিফেন্ডার।
বুধবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে ঈগলসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আবাহনী। এই জয়ে এএফসি কাপের বাছাইয়ের প্লে-অফে উঠলো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। আবাহনীর পক্ষে গোল করেন কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট ও দানিলো। ঈগলসের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন রিজুভান আহমেদ। ভারতের মোহন বাগান ও নেপালের মাচ্চিন্দ্রা ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে প্লে-অফ খেলবে আবাহনী।
কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে মাঠের অবস্থা খারাপ হয়ে ওঠে, এর মাঝেও আক্রমণাত্মক শুরু করে আবাহনী। ঘরের মাঠের দলটি পঞ্চম মিনিটেই আক্রমণ সাজায়। তবে মুজাফ্ফরভের শট ফিরিয়ে দেন ঈগলসের গোলরক্ষক। ১০ মিনিট পর উজবেকিস্তানের এই মিডফিল্ডারের বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন, এবারও দলকে বাঁচান ঈগলস গোলরক্ষক।
২০তম মিনিটে সুযোগ পেয়ে তা দারুণভাবে কাজে লাগায় আবাহনী। ডেভিড ইফেগুয়ের ক্রসে লাফিয়ে উঠে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ান কর্নেলিয়াস। এরপর এলোমেলো খেলা হয়েছে অনেকটা সময়, প্রথমার্থের শেষ দিকে গিয়ে সম্ভাবনা তৈরি করে আবাহনী। কিন্তু ৪৫তম মিনিটে ডেভিডের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে আবাহনী।
দ্বিতীয়ার্ধেরও অনেকটা সময় নিজেদের জাল অক্ষত রাখে ঘরের মাঠের দলটি। কিন্তু ৬৩তম মিনিটে গিয়ে গোল হজম করতে হয় তাদের। মিলোভান পেত্রোভিচির ফ্রি কিকে চোখ ধাঁধানো সাইড ভলিতে আবাহনীর জালে বল জড়ান রিজুভান আহমেদ। এরপর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা এগোচ্ছিল, কিন্তু কোনো দলই জালের ঠিকানা পাচ্ছিল না।
ঈগলসের রক্ষণে অবিরত হানা দিতে থাকা আবাহনী গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এ সময়ে ত্রাতা হয়ে দেখা দেন দানিলো, ৮৯তম মিনিটে ঈগলসের জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। মোজাফ্ফরভের নেওয়া কর্নারে দূরের পোস্টে থাকা দানিলোর হেডে বল জড়িয়ে যায় জালে, জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।