বৃষ্টির জয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি, সুপার ফোরে পাকিস্তান
শেষ পর্যন্ত জয় হলো বৃষ্টিরই। বৃষ্টি বাধায় পরিত্যক্ত হয়েছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার এশিয়া কাপের ম্যাচ। ওয়ানডে ম্যাচে ফলাফল হতে হলে দুই দলেরই অন্তত ২০ ওভার করে ব্যাটিং করতে হয়। কিন্তু ভারত পারলেও বৃষ্টির কারণে পাকিস্তান ব্যাটিং করতে নামতেই পারেনি। দুই দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে।
ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও পাকিস্তানের অবশ্য অর্জন আছে। নেপালকে হারিয়ে ২ পয়েন্ট পাওয়া পাকিস্তান এই ম্যাচ থেকে পেয়েছে এক পয়েন্ট। ৩ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে বাবর আজমের দল। ভারত-নেপাল ম্যাচের জয়ী দল এই গ্রুপ থেকে সুপার ফোরের টিকেট পাবে।
শনিবার এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাল্লেকেলেতে আগে ব্যাটিং করে ২৬৬ রান তোলে ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের তিন পেসার শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহর বোলিং তোপে পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করা হয়নি রোহিত শর্মার দলের। ইশান ও হার্দিকের দারুণ দুটি ইনিংসের পরও ৪৮.৫ ওভারে অলআউট হয়ে যায় তারা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত, সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার রোহিত ও শুভমান গিল। ৪.২ ওভারের পর শুরু হয় বৃষ্টি, ৪০ মিনিট পর আবার খেলা শুরু হয়। খেলা শুরুর পরই আফ্রিদির আঘাত। বৃষ্টির আগে ২ বল করা ওভারের শেষ বলে রোহিতের স্টাম্প উপড়ে নেন পাকিস্তানের পেস আক্রমণের এই সেরা অস্ত্র।
এক ওভার পর আবারও আফ্রিদির তোপ, এবার তার শিকার ভারতের ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা কোহলি। রোহিতের মতো কোহলিকেও বোল্ড করেন পাকিস্তানের বাঁহাতি এই পেসার। ২৭ রানে ২ উইকেট হারানো ভারতের চাপ আরও বাড়িয়ে দেন রউফ, দারুণ শুরু করা শ্রেয়াস আইয়ারকে সাজঘর দেখিয়ে দেন তিনি। উইকেটে ধুঁকতে থাকা শুভমানকে ১৫তম ওভারে ফিরিয়ে দেন রউফ।
৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত যখন দিশেহারা, তখন আলোক বর্তিকা হাতে দেখা দেন ইশান ও হার্দিক। চাপ সামলে উইকেটে মানিয়ে নেওয়া ভারতের এই দুই ব্যাটসম্যান গড়েন দারুণ এক জুটি। পঞ্চম উইকেটে ১৪১ রানে ১৩৮ রান যোগ করেন এ দুজন। মাঝে দুজনই পূর্ণ করেন হাফ সেঞ্চুরি। দলীয় সংগ্রহ ২০০ পেরিয়ে আউট হন ইশান। এর আগে ৮১ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮২ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর হার্দিক একাই দাপুটে ব্যাটিং করতে থাকেন। ৪৪তম ওভারে গিয়ে আফ্রিদির শিকারে পরিণত হন তিনি। ৯০ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৮৭ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর ভারত আর বেশি পথ এগোতে পারেনি। শেষ ৬.৫ (৪১ বল) ওভারে ২৭ রান তুলতেই বাকি ৪ উইকেট হারায় তারা। ১০ ওভারে ৩৫ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন আফ্রিদি। রউফ ও নাসিম পান ৩টি করে উইকেট।