‘সবাই সুস্থ থাকলে অন্যরকম টুর্নামেন্ট হতো’
হার দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু হয় বাংলাদেশের। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাজেভাবে হেরে যায় সাকিব আল হাসানের দল। পরের ম্যাচে অবশ্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছন্দময় বাংলাদেশের দেখা মেলে। বড় সংগ্রহ গড়ে জয় তুলে নেয় তারা। এরপর সুপার ফোরে ব্যাটিং ব্যর্থতায় টানা হারে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন শেষ।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল আনুষ্ঠানিকতার। বেশি কিছু পাওয়ার বা হারাবার ছিল এই ম্যাচ থেকে। এ কারণেই একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়নি। মুশফিকুর রহিম দেশে ফেরায় তার খেলা হয়নি। এ ছাড়া নিয়মিত চার সদস্যকে বসিয়ে একাদশে নেওয়া হয় তাদের, যারা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি।
আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা ভারতও আনে পাঁচটি পরিবর্তন। ধুন্ধুমার লড়াইয়ের পর ৬ রানের রোমাঞ্চকর জয় পায় বাংলাদেশ। পাওয়া বা হারাবার না থাকলেও এই ম্যাচ জয়ে মিলেছে আত্মবিশ্বাস। দেশে ফেরার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শারীরিক ভাষা সেটা বলে দিচ্ছিল।
দেশে ফিরে মেহেদী হাসান মিরাজ আত্মবিশ্বাসের কথাই জানালেন। এবারের এশিয়া কাপে তিন ম্যাচে ইনিংস উদ্বোধন করে একটি সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া বাংলাদেশ অলরাউন্ডার শনিবার বিমানবন্দরে বলেন, 'শেষ ম্যাচটা জেতায় দলের মধ্যে আলাদা আত্মবিশ্বাস যোগ করবে। ভারত এই টুর্নামেন্টে খুব ভালো খেলছে।'
এই আত্মবিশ্বাস ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ ও বিশ্বকাপে কাজে দেবে বলে বিশ্বাস মিরাজের, 'ম্যাচটা এমন ছিল...আমরা জিতলেও এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তবে আমাদের মধ্যে এই বিষয়টা কাজ করেছে, যদি ভারতের সঙ্গে জিততে পারি, তাহলে বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আত্মবিশ্বাসটা ভালো থাকবে। বিশ্বকাপ বড় ইভেন্ট, খেলাও ভারতে। সেখানে যাওয়ার আগে দলের স্পিরিটটা বেড়ে যাবে। সেটাই হয়েছে। দলের খেলোয়াড়েরা খুব ভালো খেলেছে।'
বাংলাদেশ দলে ছিল চোট সমস্যা। চোটের কারণে এশিয়া কাপ খেলা হয়নি তামিম ইকবালের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮৯ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০৪ রানের ইনিংস খেলা নাজমুল হোসেন শান্তর এশিয়া কাপ শেষ হয়ে যায় চোটে। লিটন কুমার দাসেরও চোট ছিল। তাই মিরাজের দাবি, সবাই সুস্থ থাকলে বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টটা অন্যরকম হতে পারতো, 'যারা চোটে পড়েছে, তারা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। তামিম ভাই দলের সঙ্গে ছিলেন না চোটের কারণে।'
'শান্ত খেলার ভেতর চোটে পড়েছে। সে কিন্তু দুটি ম্যাচ খেলেছে, দুটিতেই বড় ইনিংস খেলেছে। লিটন ভাই অসুস্থ ছিলেন। মুশফিক ভাইকে ব্যক্তিগত কারণে খেলার মাঝেই চলে আসতে হয়েছে। সব মিলিয়ে যদি সবাই সুস্থ থাকতো, তাহলে খুব ভালো একটা টুর্নামেন্ট হতো, আমি ব্যক্তিগতভাবে এ আশাই করেছি। সব মিলিয়ে মনে করি, বিশ্বকাপের আগে আমরা সবাই সুস্থ হয়ে, মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় থেকে বিশ্বকাপে যেতে চাই।'