আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেও চোট নিয়ে অস্বস্তি যায়নি তামিমের
সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন গত জুলাইয়ে। এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়া, একদিন পরে আবার ফেরা, ফিরলেও অধিনায়কত্ব ছাড়া; সব মিলিয়ে অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে আসতে হয়েছে তামিম ইকবালকে। তবে ক্রিকেটার হিসেবে তার কাছে সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ ছিল চোট সমস্যা। ইংল্যান্ডে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া তামিমকে ব্যথানাশক ইনজেকশন পর্যন্ত নিতে হয়েছে।
দেশে ফিরে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ওপেনার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন। ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় ব্যাটিং করার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের। শনিবার ৮৬ রানে হার মানা দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৮ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম। কিন্তু ম্যাচ শেষে তিনি জানালেন, পিঠের ব্যথার সমস্যা পুরোপুরি যায়নি তার। অস্বস্তি নিয়েই ব্যাটিং করতে হয়েছে তাকে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার হিসেবে নিয়েছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের পর পারফরম্যান্স বিবেচনায় কয়েকটি জায়গা চূড়ান্ত করে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। বিশ্বকাপ দলে স্বাভাবিকভাবেই বিবেচনায় আছেন তামিম, কিন্তু দল ঘোষণার দুদিন আগে তার পিঠের ব্যথার অস্বস্তি খবর নিশ্চয়ই দল গঠনের পথ কঠিন করবে বিসিবির।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, 'মাঠে ফিরে ভালো লাগছে। প্রথম ম্যাচে ৩০ ওভারের মতো ফিল্ডিং করেছি। আজ ৫০ ওভার মাঠে ছিলাম। এ ছাড়া ব্যাটিং করেছি ২০ ওভারের মতো। ফিরে ভালো লাগছে। তবে এখনও অস্বস্তি রয়েছে। এখনও আমার পিঠে বেশ ভালো অস্বস্তি রয়েছে। ফিজিও এবং আমি এটা ওভারকাম করার চেষ্টা করছি। এটা সত্য, এখনও অস্বস্তি রয়েছে।'
গত কয়েক মাসে অনেক ঘটনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তামিমকে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ, সব মিলিয়ে ব্যাটিংয়ে নামার সময় ভয় কাজ করেছিল বলে জানান তামিম। তার ভাষায়, 'সত্যি কথা বলতে, আমি নার্ভাস ছিলাম। যদি বলি যে এটা জাস্ট আরেকটা ম্যাচ, তাহলে বলা যাবে না। শেষ কয়েক মাসে যেসব ঘটনা ঘটেছে, ব্যাটিংয়ে নামার সময় আমি নার্ভাস ছিলাম। তবে প্রথম ওভার শেষে সেটা কমে গিয়েছিল যা স্বস্তির ছিল। এ ছাড়া ব্যাটিং করে আনন্দ পাচ্ছিলাম।'
৪৪ রানের ইনিংস খেলার পর ভয় কেটেছে, মিলেছে আত্মবিশ্বাসও। তবে পিঠের ব্যথার অস্বস্তির কথা আবারও বললেন তামিম, 'আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। একটু তো ভালো অনুভব হচ্ছে। সামনের ম্যাচ যখনই আমি খেলি, ওই নার্ভাসনেসটা একটু কম থাকবে। কিন্তু যেটা বললাম, আমার শরীর কিভাবে রিঅ্যাক্ট করবে না করবে, সেটা নিয়ে আমরা মেডিকেল টিমের সঙ্গে আলোচনা করছি। এতোদিন পর আসলে যে কোনো ব্যাটসম্যানের নার্ভাসনেস থাকবে, আমি ভিন্ন কেউ নই।'
'আপনারা জানেন আমি একটা ইনজুরি থেকে ফিরেছি। এ জন্য আমার উইকেটে সময় কাটানো গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আপনি ফিল্ডিং করলেন কিন্তু ব্যাটিংয়ে সময় কাটালে বোঝা যায় কীভাবে শরীর রিঅ্যাক্ট করছে। আগেও বলেছি, এখনও জড়তা আছে।, জড়তা থাকবেও। কিন্তু এটা কীভাবে কাটিয়ে উঠবো, সেই প্রশ্নের উত্তর আমাদের মেলাতে হবে। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল উইকেটে সময় কাটানো। সেটা ব্যাটিং হোক বা বোলিং।' যোগ করেন তিনি।