সাঙ্গাকারাকে পেছনে ফেলে মেন্ডিসের দ্রুততম সেঞ্চুরি
দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক রেকর্ড গড়ার ম্যাচে শ্রীলঙ্কা হারলেও দাপুটে ব্যাটিং করেছিলেন কুশল মেন্ডিস। বড় লক্ষ্য পাড়ি দিতে নেমে চোখ ধাঁধানো সব শটে ঝড়ো গতির এক ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই লঙ্কান ব্যাটসম্যান। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঝড় আরও বড় হলো মেন্ডিসের, এবার বিশ্বকাপে দেশের পক্ষে গড়ে ফেললেন দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেভাবে এগোচ্ছিলেন মেন্ডিস, সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। কিন্তু হতাশায় শেষ হয় তার ইনিংসটি। এবার আর ভুল করলেন না লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইন আপের অন্যতম এই ভরসা, তুলে নিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ও বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে বিশ্বকাপে হাফ সেঞ্চুরিও ছিল না তার।
পাকিস্তানের বিশ্ব মানের পেসারদের বিপক্ষে খুনে ব্যাটিংয়ে ৭৭ বলে ১৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১২২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন মেন্ডিস। ৬৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, যা বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার কোনো ব্যাটসম্যানের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরি। রেকর্ডটি কুমার সাঙ্গাকারার দখলে ছিল, ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ বলে সেঞ্চুরি করেন কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান।
মেন্ডিসের রেকর্ড গড়ার ম্যাচে অসাধারণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদিরা সামারাবিক্রমাও। ডানহাতি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান ৮৯ বলে ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০৮ রান করেন। ওয়ানডে ও বিশ্বকাপে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি। এই দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৩৪৪ তুলেছে শ্রীলঙ্কা।
বড় সংগ্রহের পথে অবদান রাখেন পাথুম নিাসাঙ্কাও। লঙ্কান এই ওপেনার ৬১ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৫১ রান করেন। এ ছাড়া ধনঞ্জয়া ডি সিলবা ২৫, অধিনায়ক দাসুন শানাকা ১২ ও দুনিথ ভেল্লালাগে ১০ রান করেন। পাকিস্তানের হাসান আলী ১০ ওভারে ৭১ রানে ৪টি উইকেট নেন। ১০ ওভারে ৬৪ রানে ২টি উইকেট পান হারিস রউফ। একটি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খান।