শহিদি-ওমরজাইয়ের ব্যাটে ভারতের বিপক্ষে আফগানদের লড়াকু সংগ্রহ
শুরুটা ভালো হয়নি, পরে দ্রুত হারাতে হয় দুই উইকেট; একটা সময়ে মনে মনে হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে আফগানিস্তান। কিন্তু বিপর্যয়ে পড়া দলের হাল ধরেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দারুণ এক জুটিতে অনেকটা পথ এগিয়ে দেন এ দুজন, সঙ্গে আরও কিছু ছোট ছোট ইনিংস। সব মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ের পুঁজি পেল আফগানরা।
বুধবার দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ২৭২ রান তুলেছে আফগানিস্তান। দারুণ বোলিং করেছেন ভারতের প্রধান পেস অস্ত্র জাসপ্রিত বুমরাহ, একাই ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদপও দেখান দাপট। এর মাঝেই দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলের সংগ্রহ এগিয়ে নেন শহিদি ও ওমরজাই।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা আফগানরা খুব একটা ভালো শুরু করতে পারেনি, উদ্বোধনী জুটিতে ৩২ রান পায় তারা। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ইব্রাহিম জাদরান উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থামেন। রহমানউল্লাহ গুরবাজের সঙ্গে রহমত শাহর জুটিও দীর্ঘ হয়নি। দলীয় ৬৩ রানে গুরবাজকে থামান ভারতের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। দুই বল পরই বিদায় নিতে হয় রহমতকেও।
দুই বলের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে পথ দেখাতে শুরু করেন শহিদি ও ওমরজাই। চতুর্থ উইকেটে ১২৮ বলে ১২১ রান যোগ করেন এ দুজন। ওমরজাইয়ের বিদায়ের পর মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন শহিদি। আফগান অধিনায়ক ৮৮ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৮০ রান করেন। বিশ্বকাপে এটা তার তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি এবং ওয়ানডের ১৭তম। ৬৯ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬২ রান করেন ওমরজাই। এটা তার দ্বিতীয় ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি, বিশ্বকাপের প্রথম।
গুরবাজ ২১, ইব্রাহিম ২২, রহমত ১৮, নবী ১৯, রশিদ ১৯ ও মুজিব ১০ রান করেন। ইনিংসগুলো ছোট হলেও দলের মাঝারি সংগ্রহ গড়ার পথে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আগুনে বোলিং করা বুমরাহ ১০ ওভারে ৩৯ রানে ৪টি উইকেট নেন। ৭ ওভারে ৪৩ রানে ২টি উইকেট নেন পান্ডিয়া। একটি করে উইকেট পান শার্দুল ও কুলদীপ। মোহাম্মদ সিরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজা কোনো উইকেট পাননি।