ধসের পর ল্যাথাম-ফিলিপসের ব্যাটে নিউজিল্যান্ডের লড়াকু পুঁজি
ভালো শুরু না হলেও চাপ সামলে নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটে অনেকটা পথ পাড়ি দেয় তারা। কিন্তু ১০০ পেরোতেই তাদেরকে চেপে ধরেন আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও লেগ স্পিনার রশিদ খান। এই দুই বোলারের তোপে মাত্র ২ রানে ৩ উইকেট হারায় কিউইরা। তখন মনে হয়েছে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। কিন্তু দলকে বিপদে পড়তে দিলেন না দারুণ জুটি গড়া টম ল্যাথাম ও গ্লেন ফিলিপস। এ দুজনের অসাধারণ ব্যাটিং ও আফগানদের ক্যাচ মিসের মহড়া; ধসের পরও তাই মাঝারি পুঁজি পেল কিউইরা।
বুধবার চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ২৮৮ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। হঠাৎ বিপর্যয়ে স্কোরকার্ডের চেহারা পাল্টে যায় তাদের, এক উইকেটে ১০৮ থেকে ৪ উইকেটে ১১০। এরপরও বিশ্বকাপের বর্তমান রানার্সআপরা সামনে এগিয়েছে ল্যাথাম ও ফিলিপসের ব্যাটে। খাদের কিনারে চলে যাওয়া দলকে স্বস্তিতে ফিরিয়ে এ দুজন ইনিংসের ৪৮ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করেন, গড়েন ১৪৪ রানের জুটি। আফগানিস্তান পুরো ইনিংসে পাঁচটি ক্যাচ না ছাড়লে অবশ্য হিসাবটা অন্যরকম হতে পারতো।
উদ্বোধনী জুটি থেকে ৩০ রান পায় নিউজিল্যান্ড। ১৮ বলে ৩টি চারে ২০ রান করা ডেভন কনওয়েকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাতটি হানেন আফগান স্পিনার মুজিব-উর-রহমান। দলকে উইকেট হারানোর চাপ বুঝতে না দিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়েন উইল ইয়াং ও রাচিন রবীন্দ্র। ৪১ বলে ৩২ রান করা রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ওমরজাই। ৬৪ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৪ রান করা ইয়াংকেও এই ওভারের শেষ বলে ফিরিয়ে দেন তিনি।
এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড তখন মহা চাপে, পরের ওভারে তাদের চাপ আরও বাড়ান রশিদ। তারকা এই লেগ স্পিনারের শিকার ড্যালি মিচেল। দুই রানে তিন উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন ল্যাথাম-ফিলিপস। দ্রুত উইকেটে থিতু হয়ে দলের সংগ্রহ বাড়িয়ে নিতে থাকেন তারা। ৪৮তম ওভারে আফগান পেসার নাভিন-উল-হকের জোড়া শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ল্যাথাম ৭৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৮ ও ফিলিপস ৮০ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ইনিংস সেরা ৭১ রান করেন।
শেষ দিকে নেমে ঝড় তোলেন মার্ক চাপম্যান। ১২ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় অপরাজিত ২৫ রান করেন তিনি। ল্যাথাম-ফিলিপসের পর চাপম্যানের ব্যাটে শেষ ১০ ওভারে ২ উইকেটে ১০৩ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ৫ ওভারে মাত্র ১৮ রানে ২ উইকেট নেন ওমরজাই। কিন্তু শেষ দিকে ২ ওভারে ৩৬ রান খরচা করেন তিনি। ১০ ওভারে ৪১ রানে একটি উইকেট পান রশিদ। ৮ ওভারে ২ উইকেট নিতে নাভিনের খরচা ৪৮ রান। খরুচে মুজিব ১০ ওভারে ৫৭ রানে একটি উইকেট পান।