এঙ্গেলব্রেখট-ভ্যান বিকের রেকর্ড জুটিতে ডাচদের লড়াকু সংগ্রহ
দুঃস্বপ্নের শুরুর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেটের পতন, ১০০ পেরোনোই শঙ্কার মুখে পড়ে যায়। কিন্তু এখান থেকে গল্পটা ভিন্ন। ধ্বংসস্তূপ থেকে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে নেদারল্যান্ডস পাড়ি দিলো আরও অনেকটা পথ। শ্রীলঙ্কার দুই পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা ও কাসুন রাজিথার তোপ সামলে সময় উপযোগী ব্যাটিংয়ে অন্ধকার পেরিয়ে দলকে আলোর পথে নিয়ে গেলেন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট ও লোগান ভ্যান বিক। এ দুজনের রেকর্ড জুটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াইয়ের পুঁজি পেল ডাচরা।
শনিবার লক্ষ্ণৌর ভারত রত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে সব কটি উইকেটে ৪৯.৪ ওভারে ২৬২ রান তুলেছে নেদারল্যান্ডস। বিশ্বকাপে আগে ব্যাটিং করা ম্যাচে এটা তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ।
রাজিথার দারুণ বোলিংয়ের মুখে ডাচদের শুরুটা হয় চরম অগোছালোভাবে। দলীয় ৭ রানেই ফিরে যান ওপেনার বিক্রমজিত সিং। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবশ্য চাপ কাটিয়ে তোলেন ম্যাক্স ও'দাউদ এবং কলিন অ্যাকারম্যান। ৩৮ বলে ৪১ রান যোগ করেন এ দুজন। ১৬ রান করা ও'দাউদকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন রাজিথা। ২৯ রান করা অ্যাকারম্যানকেও একটু পর সাজঘর দেখিয়ে দেন নেদারল্যান্ডসের প্রথম তিন উইকেট তুলে নেওয়া ডানহাতি এই পেসার।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ডাচরা যখন দিকহারা, তখন আঘাত হানতে শুরু করেন মাদুশঙ্কা। লঙ্কান এই বাঁহাতি পেসার তিন রানের ব্যবধানেই ফিরিয়ে দেন বাস ডে লেডে ও তেজা নিদামানুরুকে। কিছুক্ষণ পর ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে ফিরিয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপদ আরও বাড়ান মাহিশ থিকশানা। ৯১ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় দলটি।
এমন সময়ে আলোক বর্তিকা হাতে দেখা মেলে এঙ্গেলব্রেখট ও ভ্যান বিকের। চাপি কাটিয়ে দ্রুতই উইকেটে মানিয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে থাকেন এ দুজন। সপ্তম উইকেট তারা ১৪৩ বলে ১৩০ রানের জুটি গড়েন। যা বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের সেরা জুটি, যেকোনো উইকেটে দ্বিতীয় সেরা জুটি। দলীয় ২২১ রানে মাদুশঙ্কার তৃতীয় শিকারে পরিণত হন ৮২ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৭০ রান করা এঙ্গেলব্রেখট।
৪৯ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করা ভ্যান বিক ৭৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ৫৯ রান করে আউট হন। নেদারল্যান্ডসের কেবল চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন। মাদুশঙ্কা ৯.৪ ওভারে ৫৪ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন। রাজিথার শিকারও ৪ উইকেট, ৯ ওভারে ৫০ রান দেন তিনি। ১০ ওভারে ৪৪ রানে একটি উইকেট নেন থিকশানা।