মিচেল-রবীন্দ্রর ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পেল নিউজিল্যান্ড
শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। রানের দেখা তো নেই-ই, উল্টো দুই ওপেনারকেও হারাতে হয় দ্রুতই। ভারতের পেসারদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে পথ হারিয়ে বসা নিউজিল্যান্ড দিশা পায় ড্যারিল মিচেল ও রাচিন রবীন্দ্রর ব্যাটে। এই দুই ব্যাটসম্যানই মূলত দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেন।
রোববার ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করা নিউজিল্যান্ড সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান তুলেছে। তৃতীয় উইকেটে রবীন্দ্রর সঙ্গে বড় জুটি গড়ার পথে বিশ্বকাপের প্রথম এবং ওয়ানডের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন মিচেল, যা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসও। সেঞ্চুরির পথে ছিলেন রবীন্দ্র, কিন্তু ৭০ পেরিয়ে খেই হারান তিনি।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজের দারুণ বোলিংয়ের বিপক্ষে ধুঁকছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার। রানই নিতে পারছিলেন না তারা। দলীয় ৯ রানে আসে প্রথম ধাক্কা। মোহাম্মদ সিরাজের বলে ক্যাচ তুলে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান ডেভন কনওয়ে।
১৭ রান করা আরেক ওপেনার উইল ইয়াংও বেশি সময় টিকতে পারেননি। শার্দুল ঠাকুরের জায়গায় সুযোগ পাওয়া ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। লাফিয়ে ওঠা বলে শেষ মুহূর্তে ব্যাট চালিয়ে ইনসাইডজ এজ হন ইয়াং। ৮.১ ওভারে কিউইদের স্কোরকার্ডে জমা হয় মাত্র ১৯ রান, হারায় দুই উইকেট।
এমন অবস্থা থেকে হাল ধরেন রবীন্দ্র ও মিচেল। চাপ কাটিয়ে দারুণ ব্যাটিং করা এ দুজন তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১৫৯ রানের জুটি। যা বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের পঞ্চম ও তৃতীয় উইকেটে দ্বিতীয় সেরা জুটি। ৮৭ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৭৫ রান করা রবীন্দ্রকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙেন বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েই অসাধারণ বোলিং করা শামি।
এরপর শামি-কুলদীপের তোপের মুখে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে নিউজিল্যান্ড। টম ল্যাথাম ৫ রান করে বিদায় নেন, গ্লেন ফিলিপস ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৩ রান করে থামেন কিউই এই ব্যাটসম্যান। খাদের কিনারে চলে যাওয়া দলকে পথ দেখিয়ে আসা মিচেল এরপরও অবিচল থাকেন, ব্যাটিং করেন শেষ ওভার পর্যন্ত।
শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হওয়ার আগে ১২৭ বলে ৯টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৩০ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন তিনি। ওয়ানডেতে এটাই তার সেরা ইনিংস, আগের সেরা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২৯। ইয়াং, রবীন্দ্র, মিচেল ও ফিলিপস ছাড়া নিউজিল্যান্ডের কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। শামি ১০ ওভারে ৫৪ রানে ৫টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট পান কুলদীপ। একটি করে উইকেট নেন বুমরাহ ও সিরাজ।