‘দুই-এক বছরের মধ্যেই পরের বিশ্বকাপের দল প্রস্তুত হয়ে যাবে’
বিশ্বকাপে স্বপ্নপূরণ হয়নি, টানা হারে চরম হতাশায় সময় কেটেছে বাংলাদেশ দলের। ব্যর্থতার মিশনে আর একটি ম্যাচ বাকি তাদের। আগামী ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ থেকে কিছু পাওয়ার না থাকলেও এই ম্যাচটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কারণে।
বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে এই ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা করে নেওয়ায় চোখ বাংলাদেশের। তবে নির্বাচক হাবিবুল বাশারের দৃষ্টি কেবল এই ম্যাচেই নয়, আরও অনেক কিছুই ঘুরছে তার মাথায়। ভারতে দলের সঙ্গে থাকা জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক এখনই চোখ রাখছেন আগামী বিশ্বকাপে। ঘরোয়া ক্রিকেটে যে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে, তাতে দুই-এক বছরের মধ্যেই পরের বিশ্বকাপের দল প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে তার বিশ্বাস।
আগামী বিশ্বকাপে চোখ থাকলেও বাকি সবার মতো এবারের ব্যর্থতায় মন খারাপ বাশারের। পুনেতে টিম হোটেলে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, 'আমরা সবাই দেখেছি বিশ্বকাপ কেমন কেটেছে আমাদের। নিশ্চিতভাবেই হতাশার। আমরা অনেক আশা করে এসেছিলাম। প্রত্যাশাও অনেক বেশি ছিল। সেটা কোনোভাবেই আমরা পূরণ করতে পারিনি।'
'এই বিশ্বকাপের আগে আমাদের দলটা যেমন ফর্মে ছিল, পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে আমরা যতটা ধারাবাহিক, খুব ভালো খেলছিলাম। সে জন্য প্রত্যাশা একটু বেশি ছিল। আমরা প্রত্যাশা মেটাতে পারিনি। আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল। এটা হয়ে থাকে। অনেক সময় আপনি ফর্মে এসে টুর্নামেন্টে ফর্ম হারিয়ে ফেলতে পারেন। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে।' যোগ করেন তিনি।
কী কারণে এমন ব্যর্থতা, জানা নেই কারও। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, এই প্রশ্নের উত্তর নেই তাদের কাছে। বাশার অবশ্য একটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন।
তার ভাষায়, 'বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে আসার আগে আমাদেরকে মানসিক শক্তি নিয়ে বেশি কাজ করা উচিত। স্কিলের দিক থেকে আমরা আগে যা ছিলাম, এখন তাই আছি। বিশ্বকাপে বাকি দলগুলো অনেক প্রস্তুতি নিয়ে আসে। আমরাও অনেক প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলাম। কিন্ত এখানে শক্ত মানসিকতার একটা ব্যাপার থাকে। এরপর এই ধরনের টুর্নামেন্টে আসার আগে আমাদের মানসিক স্কিল নিয়ে কাজ করতে হবে।'
বিশ্বকাপের মতো আসরে ব্যর্থ হলে যেকোনো দলেই পরিবর্তন আসে, সব কিছু ঢেলে সাজানো হয়। এর মাঝেও ঘরোয়া ক্রিকেটের কিছু উন্নতি দেখে সময়ের আগেই সব কিছু গুছিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাশার। তার বিশ্বাস, ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতির প্রভাব জাতীয় দলে পড়তে সময় লাগলেও পরের বিশ্বকাপের দল আগেভাগেই প্রস্তুত হয়ে যাবে।
সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, 'আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট তো নিশ্চিতভাবে অনেক উন্নতি করেছে। উইকেট নিয়ে অনেক কথা হতো। কিন্তু শেষ দুই বছরে উইকেট অনেক স্পোর্টিং হয়েছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উইকেট খুব ভালো থাকে। প্রিমিয়ার লিগের উইকেটও ভালো থাকে। এখন কিন্তু এই জিনিসগুলোর পরিবর্তন শুরু হয়েছে আস্তে আস্তে। সেটার ফল হয়তো আমরা এখন দেখতে পারছি না। আগামী বিশ্বকাপ চার বছর পর, এই সময়ে দলটা প্রস্তুত হয়ে যাবে। এক-দুই বছরের মধ্যেই প্রস্তুত হয়ে যাবে।'