সিরিজ জেতার কথা কেন বলছিলেন, জানালেন শান্ত
সিলেট টেস্টের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭টি টেস্ট বাংলাদেশের জয় ছিল একটি। বাকি ১৬ ম্যাচের ১৩টিতে হার, ড্র হয় ৩টি ম্যাচ। অনেক এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে পায়নি বাংলাদেশ। দলে নেই অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। চোটের কারণে খেলা হচ্ছে না দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেনেরও। এরপরও সিরিজ জেতার কথা বলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
সাকিবের অবর্তমানে নেতৃত্ব পাওয়া বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান জানান, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জেতার সামর্থ্য আছে তাদের। আত্মবিশ্বাসের রসদ ঘরের মাঠের কন্ডিশন ও বোলিং শক্তির কথা উল্লেখ করেন তিনি। শান্ত এও জানান, বোলিং আক্রমণ বিবেচনায় ঘরের মাঠে যেকোনো প্রতিপক্ষকে হারানোর মতো দল বাংলাদেশ। তেমনই হয়েছে, সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে তারা, সেটা বোলিং পারফরম্যান্সেই।
বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট, বাকিরাও রেখেছেন অবদান। নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে ঘরের মাঠের দলটি। অবিস্মরণীয় এই জয়ের পর সিরিজ শুরুর আগের মন্তব্যের কথা মনে করানো হলো শান্তকে। তিনি জানালেন, কেবল বলার জন্যই অমন মন্তব্য করেননি তিনি। সিরিজ জেতার সমার্থ্য আছে, এই বিশ্বাস দলের সবার মধ্যেই ছিল বলে জানান তিনি।
দলকে অনুপ্রাণিত করতে সিরিজ জেতার কথা বলেছিলেন? বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বললেন, 'আমি খুবই পরিষ্কার ছিলাম। আমি কাউকে অনুপ্রাণিত করার জন্য কথাটা বলিনি। আমি আসলেই বোঝাতে চেয়েছিলাম যে, আমরা এই সিরিজটা জিততে পারি এবং জেতার জন্যই খেলব। এই বিশ্বাসটা শুধু আমার মধ্যে ছিল, তা নয়। দলের প্রতিটা খেলোয়াড়ের মধ্যে ছিল। আমি যখন দেখেছি প্রত্যেক খেলোয়াড় ওভাবে চিন্তা করছে, তখনই আমার মধ্যে বিশ্বাসটা আসে। আমি যেটা চিন্তা করেছি, দলের সবাই সেটাই চিন্তা করছে।'
সিরিজ জেতার মন্তব্য করার ব্যাখ্যায় ঘরের মাঠের কন্ডিশন, নিজেদের বোলিংয়ের কথা উল্লেখ করেন শান্ত। নিজেদের ব্যাটিং শক্তির ওপরও বিশ্বাস ছিল তার। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে নেতৃত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা শান্তর ভাষায়, 'আমাদের কন্ডিশনে খেলা হচ্ছে। আমাদের যে বোলিং আক্রমণ, ব্যাটিংয়ে যে শক্তি আছে; ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং; তিন বিভাগেই আলাদা আলদা করে যেমন শক্তিমত্তা ছিল, আমার কাছে মনে হয়েছে, সিরিজটা জেতা সম্ভব।'
সিরিজ জেতার অর্ধেক কাজ সেরেছে বাংলাদেশ। ২-০ করতে দ্বিতীয় ম্যাচটি জিততে হবে তাদের, ম্যাচটি আগামী ৬ ডিসেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে। বাকি থাকা কাজ সে সহজ হবে না, তা মনে করালেন শান্ত, 'একটা ম্যাচ বাকি, অর্ধেক কাজ হয়েছে। এমন নয় যে পরের ম্যাচে যাব আর জিতে যাব, এ রকম হবে না। আবারও পাঁচ দিন কষ্ট করা লাগবে। চেষ্টা করব পরের ম্যাচে কীভাবে আরও উন্নতি করে জিততে পারি।'