হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বার্সাকে হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে রিয়াল
বার্সেলোনা সমর্থকরা আক্ষেপ করতেই পারেন। লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তি না থাকাকেও ম্যাচ হারের জন্য দায়ী করতে পারেন তারা। কারণ, এল ক্লাসিকো একে তো মর্যাদা লড়াই, তার ওপর এবারের ম্যাচটি ছিল শিরোপার লড়াইয়ে বার্সার টিকে থাকার জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ। সেই লড়াইয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছে ৩-২ গোলের ব্যবধানে। ম্যাচের যোগ করা সময়ের অন্তিম মুহূর্তে আনচেলত্তির দলকে জয়সূচক গোলটি এনে দিয়েছেন জুড বেলিংহাম।
লা লিগায় শীর্ষ দুই দল রিয়াল ও বার্সা খেলেছে ৩২টি করে ম্যাচ। যেখান ৮১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে রিয়াল। সমান ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় বার্সা। ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় জিরোনা। হাতে ছয় ম্যাচ রেখে বার্সার সঙ্গে ১১ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ।
বাকি থাকা ছয় ম্যাচই জিতলেও সর্বোচ্চ ১৮ পয়েন্ট পাবে বার্সা। তাই ১১ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় নিজেদের বাকি ছয় ম্যাচ থেকে আর আট পয়েন্ট পেলেই ৩৬তম লিগ জয় নিশ্চিত হবে রিয়ালের। অন্যদিকে জাভির বার্সেলোনা ট্রফিশুন্য মৌসুম শেষের অপেক্ষায়।
বার্নাব্যুত যদিও শুরুটা ভালো হয়েছিল জাভির দলের। মাত্র ছয় মিনিটেই কর্নার থেকে আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন হেড করে বল জালে জড়ান। এগিয়ে যায় বার্সা। তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি ব্লু গ্রানারা। ১৮ মিনিটে পেনাল্টি পায় রিয়াল। সেখান থেকে আনচেলত্তির দলকে সমতায় ফেরান ভিনিসিয়ুস। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। তবে ঘটেছে একটি বিতর্কিত ঘটনা।
২৮ মিনিটে বার্সেলোনার একটি কর্নার থেকে লামিনে ইয়ামালের টোকা গোলপোস্টের ভেতর থেকে ফেরান রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার আন্দ্রি লুনিন। ক্যামেরার বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল দেখেও ঠিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলটি পুরোপুরি গোললাইন পেরিয়েছে কি না। লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তি না থাকায় ভিএআরের সিদ্ধান্ত মেনে গোল দেননি মাঠের রেফারি। যা নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে আবারও এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। বদলি নামা ফারমিন লোপেজ এগিয়ে দেন জাভির দলকে। এবারও লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বার্সা। চার মিনিট পরই লুকাস ভাজকেজের গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। ম্যাচ এগোচ্ছিল সমতায় শেষ হওয়ার দিকেই। কিন্তু জুড বেলিংহাম আছেন না!
গ্রীষ্মের দলবদলে ১০৫ মিলিয়ন ইউরোতে কেনা ইংলিশ মিডফিল্ডারই আরেকবার আনন্দে ভাসালেন লস ব্লাঙ্কোসদের। ম্যাচের ৯২ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে বল জালে জড়ান এই ২০ বছর বয়সী তারকা। তাতেই নিশ্চিত হয় রিয়ালের জয়। আর শিরোপার সুবাসও ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে আনচেলত্তির দল।