নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের অসহায় আত্মসমর্পণ
সমপাল কামি, রোহিত পাউডেল, সন্দীপ লামিচানে, দীপেন্দ্র সিংদের ডেলিভারিকে যেন 'যমদূত' হিসেবে দেখছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কেউ ভয়ে উলট-পালট ব্যাট চালাচ্ছিলেন, কেউবা আবার নিজে থেকেই সঁপে দিচ্ছিলেন নিজের উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলতে নেমে নেপালের দুর্বার বোলিংয়ের সামনে আসা-যাওয়ার মিছিলে মেতে থাকলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে আগে ফিল্ডিং নেয় নেপাল, আর কাজটি পুরোপুরিভাবে করতে পেরেছে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিনসেন্টে আগে ব্যাটিং করতে নেমে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৯.৩ ওভারে ১০৬ রানেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। তাদের কোনো ব্যাটসম্যানই ২০ রানের বেশি করতে পারেননি, সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ১৭।
১০০ রানও পাড়ি দেওয়া হতো না বাংলাদেশের, এটা সম্ভব হয়েছে শেষ উইকেটে দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের গড়া ১৩ বলে ১৮ রানের জুটির কারণে। তাসকিন ১৫ বলে ২টি চারে অপরাজিত ১২ রান করেন। বাংলাদেশের কেবল তিনজন ব্যাটসম্যান তার চেয়ে বেশি রান করেছেন।
প্রথম বলেই উইকেট হারানো বাংলাদেশ নেপালের বোলারদের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি। নিয়মিত ধারায় উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়ে যায়। সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন সাকিব, এ জন্য তাকে খেলতে হয় ২২টি বল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান করে করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও রিশাদ হোসেন।
জাকের আলী ১২ ও লিটন কুমার দাস ১০ রান করেন। চলমান বিশ্বকাপে অবশ্য বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বলার মতো পারফরম্যান্স ছিল না। তবু ব্যতিক্রম ছিলেন তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহরা। শেষ ম্যাচে রানে ফেরেন সাকিবও। কিন্তু এই ম্যাচে কাণ্ডারীর ভূমিকায় পাওয়া গেল না কাউকেই। অধিনায়ক শান্ত বরাবরের মতোই ব্যর্থ, ৫ বলে ৪ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভোগানো সমপাল ৩ ওভারে মাত ১০ রানে ২টি উইকেট নেন। নেপালের অধিনায়ক রোহিতের শিকারও ২ উইকেট, ৪ ওভারে ২০ রান দেন তিনি। লম্বা বিরতি শেষে দলে ফেরা লেগ স্পিনার লামিচানে ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ ১৭ রানে ২ উইকেট পান। দীপ্রেন্দ ৩.৩ ওভারে ২২ রানে পান ২ উইকেট।