'এই ধরনের মুহূর্ত শত কোটিতে একবারই আসে'
গত কদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে কয়েকটি ছবি। যেখানে তরুণ লিওনেল মেসিকে দেখা যাচ্ছে একটি ছোট্ট শিশুর সঙ্গে। একটি ছবিতে মেসি সেই শিশুটিকে গোসল করিয়ে দিচ্ছেন, আবার অন্য একটি ছবিতে মেসির কোলে দেখা যাচ্ছে শিশুটিকে।
ইউরোতে একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন লামিনে ইয়ামাল। ইউরোতে এই তরুণ উইঙ্গারের দারুণ পারফরম্যান্সের পর মেসির সঙ্গে সেই শিশুটির ছবিগুলো এসেছে আলোচনায়? কিন্তু ঘটনা দুটোর যোগসূত্র কী?
যোগসূত্র এই, ২০০৭ সালে মেসি যে শিশুটির সঙ্গে ছবিটি তুলেছিলেন সেটি ছিলেন ইয়ামাল! তখন ইয়ামালের বয়স ছিল মাত্র চার মাস। তা সেই সময় ইয়ামাল মেসির সঙ্গে কী করছিলেন? আর এই ছবিগুলোর পেছনের ঘটনাই বা কী?
সব প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছেন ছবিগুলো তুলেছেন যেই চিত্রগ্রাহক, হোয়ান মনফোর্ট। ছবিগুলো মূলত তোলা হয়েছে ইউনিসেফের একটি প্রচারণার অংশ হিসেবে। বার্সেলোনার একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পাওয়া যাবে এই মর্মে একটি র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠান করে ইউনিসেফ। সেখানেই ভাগ্যবান বিজয়ী হিসেবে উঠে আসে ইয়ামালের পরিবারের নাম। আর তারা সুযোগ পেয়ে যান মেসির সঙ্গে ছবি তোলার।
মনফোর্টের কথায়, 'ছবিগুলো তুলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। মেসি একেবারেই অন্তর্মুখী একজন মানুষ। সে প্রথমে বুঝতেই পারছিল না যে বাচ্চাটিকে কীভাবে ধরবে।' এই চিত্রগ্রাহক জানিয়েছেন, সম্প্রতি ছবিগুলো আবারও ভাইরাল হওয়ার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন যে শিশুটি ইয়ামাল ছিলেন।
এই ছবিগুলোর খোঁজ আবার কীভাবে পাওয়া গেল সেই গল্প শুনিয়েছেন মনফোর্ট। জুলাইয়ের শুরুর দিকে হুট করে একটি কল আসে তার ফোনে। অপর প্রান্ত থেকে মনফোর্টকে জিগেস করা হয়, মেসির সঙ্গে সেই শিশুটির ছবিগুলো তার তোলা কিনা। 'আমার এক কলিগ রাতে কল করে বলে এই ছবিগুলোতে থাকা একটি বাচ্চা মেসি, অপরটি লামিনে ইয়ামাল।'
এই কল পাওয়ার আগে মনফোর্টের ছবিগুলো নিয়ে মনেই ছিল বলেও স্বীকার করেছেন এই চিত্রগ্রাহক। মনফোর্ট জানালেন তিনি ছবিগুলো তুলতে পেরে দারুণ গর্বিত, কারণ এ ধরনের মুহূর্ত 'বিলিয়নে একটা আসে'।
লিওনেল মেসি পরবর্তীতে বার্সেলোনার হয়ে খেলে নিজেকে নিয়ে গেছেন সর্বকালের সেরাদের কাতারে। আর তখনকার চার মাসের শিশু ইয়ামালও উঠে এসেছেন বার্সার একাডেমি লা মাসিয়া থেকে। ইউরোতে অবিশ্বাস্য সব কাণ্ড করে আলো কেড়ে নিয়েছেন নিজের দিকে। তবে কী মেসির সেদিনের সেই ছোঁয়াতেই এত কিছু? কে জানে, হয়তো বা।