বিসিবিতে যোগ্য সংগঠকের দাবিতে সাবেক পরিচালকের সঙ্গে সোচ্চার নান্নু-বাশারও
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এর পরপরই দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ভাঙচুর, লুটপাটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জ্বালাও-পোড়াও চলেছে। এমন সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সামনে (বিসিবি) আজ অবস্থান নিয়েছিলেন সাবেক বিসিবি পরিচালক ও বেশ কয়েকজন ক্লাব কর্মকর্তা।
ক্রিকেট সংগঠক পরিচয়ে বিসিবিতে হাজির হন তারা, তাদের নিয়ে আসা ব্যানারে লেখা ছিল বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার কথা। তাদের প্রধান বক্তব্য, যোগ্য সংগঠকদের নেতৃত্বে চলতে হবে বিসিবি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালে বিসিবিতে এতোদিন ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করেন তারা। তাদের দাবি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এসবের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
গ্রাউন্ডস এন্ড ফ্যাসিলিটিস কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বিসিবির সাবেক পরিচালক ও পরিচালক পর্ষদের আগে যগ্ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা রফিকুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সংগঠক মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়ের সামনে হাজির হন। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক দুই অধিনায়ক ও সাবেক নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার।
উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ক্রিকেটার দেবব্রত পাল, পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, প্রাইম দোলেশ্বরের যুগ্ম-সম্পাদক মুশতাক হোসেন, মোহামেডানের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম টিটো, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজিব, বিসিবির সাবেক দুই কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান ও বোরহান উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
যোগ্য সংগঠকদের দায়িত্বে বসানোর দাবি জানিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, '২০১২ সালের পর আবার বিসিবিতে এসেছি। এসেছিলাম বিসিবির প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু তাকে পাইনি। আমাদের দাবি, বিসিবি থেকে অযোগ্য সংগঠকদের সরিয়ে এখানে যোগ্য ক্রিকেট সংগঠকদের নিয়ে আসতে হবে। যদি ভবিষ্যতে স্বজনপ্রীতি বা অনিয়ম বিসিবিতে হয়ে থাকে, তাহলে এর সঠিক তদন্ত হবে। তবে এখন বিসিবির যতো কার্যক্রম আছে, তা ঠিকভাবে চলবে, বিসিবি যথাযথ ভাবে চলবে, বিসিবির কর্মচারীরা নির্ভয়ে কাজ করবেন। এখানে কোন কিছু হতে দেওয়া হবে না।'
বর্তমান অবস্থায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুপস্থিতিতে ক্রিকেটের সবকিছু কীভাবে পি পরিচালনা করা হবে, সে ব্যাপারে উদ্বেগ জানান সংগঠকরা। বিসিবি সভাপতির মতো বোর্ডের পরিচালকরাও অফিস করছেন না। তাদের অনুপস্থিতিতে বিসিবির বিভিন্ন বিভাগের কাজ কীভাবে চলবে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় সংগঠকদের।
বিসিবি কার্যালয়ের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর ভেতরে গিয়ে বিসিবির সভাকক্ষে বসেন রফিকুল ইসলাম ও তার নেতৃত্বে আসা সংগঠকরা। এ সময় তারা বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করার আগ্রহের কথা জানান, যদিও দেখা করতে পারেননি। সভাকক্ষে তাদের সঙ্গে ছিলেন নান্নু ও বাশার। সাংবাদিকদের নান্নু বলেন, 'সুশাসন প্রতিষ্ঠা হোক বিসিবিতে।' বাশার বলেন, 'সুদিনের আশা করছি।'