শান্তর অধিনায়কত্ব ও দলের ব্যাটিং পরিকল্পনা দেখে বিস্মিত বুলবুল
২৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২ উইকেটে ১২০ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। তখন জয়ের পথটা সহজই মনে হয়েছে। কিন্তু এরপরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ, ২৩ রানে শেষ ৮ উইকেট হারায় তারা। এমন অবিশ্বাস্য পতনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ হার মানে ৯২ রানের বড় ব্যবধানে। এই ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব ও দলের ব্যাটিং পরিকল্পনা দেখে বিস্মিত জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
সর্বশেষ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে দুবাইয়ে। গত মাসে অনুষ্ঠিত এই বিশ্ব আসর আয়োজনের অংশ ছিলেন বুলবুল। তখন থেকেই দুবাইয়ে ছিলেন আইসিসিতে ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত বাংলাদেশের সাবেক এই ব্যাটসম্যান। আজ অস্ট্রেলিয়া ফেরার আগে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) আমন্ত্রণে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি মাঠে বসে দেখেন তিনি। বিপক্ষ দলের আমন্ত্রণে মাঠে গেলেও বুলবুল নিশ্চয়ই নিজ দলের ভালো পারফরম্যান্সের আশায় ছিলেন।
কিন্তু ছয় বছর পর শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গিয়ে তাকে দেখতে হয় বাংলাদেশের ভরাডুবি। মাঝারি লক্ষ্যে দুটি জুটিতে ঠিক পথে থাকার পরও হঠাৎ-ই দিক হারিয়ে আসা-যাওয়ার মিছিলে নাম লেখান বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। বুলবুলের ভাষায়, বাংলাদেশের ব্যাটিং পরিকল্পনা ছিল দুর্বল। একই সঙ্গে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়েও সন্তুষ্ট নন তিনি। এসব নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে হতাশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করা সাবেক ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
এরপরও অবশ্য দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী বুলবুল। পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'ছয় বছর পর আজ শারজাতে আফগানিস্তান বোর্ডের আমন্ত্রণে গিয়ে মাঠে বসে বাংলাদেশ দলের ম্যাচ দেখলাম। জয়-পরাজয় তো থাকতেই পারে, কিন্তু অধিনায়কত্ব আর ব্যাটিং পরিকল্পনা দেখে সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। সবকিছুই যেন ক্লান্ত দেখাচ্ছিল; শরীরী ভাষা, বলের প্রতি মনোযোগ, প্রি-বল রুটিন, পুরোটা মিলিয়ে পরিকল্পনা খুবই দুর্বল মনে হয়েছে। আশা করি আমরা খুব শীঘ্রই এই অবস্থার উন্নতি করতে পারব।'
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা আফগানিস্তান মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে ৭১ রানেই ৫ উইকেট হারায়। এরপরও দলটি ২৩৫ রানে পৌঁছায় অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শদিহি ও মোহাম্মদ নবির ব্যাটিং দৃড়তায়। ষষ্ঠ উইকেটে ১০৪ রানের জুটি গড়ার পথে শহিদি করেন ৫২ রান, নবির ব্যাট থেকে আসে মহাকার্যকর ৮৪ রানের ইনিংস। জবাবে শুরুতে উইকেট হারালেও ৫৩ ও ৫৫ রানের দুটি জুটিতে ঠিক পথেই থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু ১২০-এ পৌঁছে আফগান স্পিনার আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফারের স্পিন ঘূর্ণিতে অল্প রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।