রনির পাঁচ উইকেট, নাঈমের সেঞ্চুরি
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) দ্বিতীয় রাউন্ড মাঠে গড়িয়েছে ১৯ ডিসেম্বর। প্রথম রাউন্ডের মতো এই রাউন্ডে দাপুটে শুরু করেছে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। আবু হায়দার রনির দারুণ বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলকে অল্প রানেই গুটিয়ে দিয়েছে মধ্যাঞ্চল। আরেক ম্যাচে নাঈম ইসলামের সেঞ্চুরি ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের হার না মানা হাফ সেঞ্চুরিতে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে ভালো অবস্থানে আছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা পূর্বাঞ্চলের প্রথম ইনিংস ২৪৫ রানে শেষ হয়। ৫টি উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি। এ ছাড়া হাসান মুরাদ ৩টি ও রবিউল হক ২টি উইকেট নেন। এরপর এক ওভার ব্যাটিং করে ৪ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করে ওয়ালটন। দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ২ ও মোহাম্মদ মিঠুন ২ রানে অপরাজিত আছেন।
আরেক ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুঃস্বপ্নের শুরুর পরও চাপ কাটিয়ে বড় সংগ্রহের পথে এগোচ্ছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। ২৯৭ বলে ১২৬ রান করে অপরাজিত আছেন নাঈম ইসলাম। মার্শাল আইয়ুব ৪৭ রান করে ফিরলেও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন নাঈমকে যোগ্য সঙ্গ দেন। ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। দক্ষিণাঞ্চলের নাহিদুল ইসলাম ২টি এবং নাসুম আহমেদ ও মেহেদি হাসান একটি করে উইকেট নেন।
মিরপুর স্টেডিয়ামে সবুজাভ উইকেট দেখে টস জিতে ফিল্ডিং নেন ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের অধিনায়ক শুভাগত হোম। পেসাররা তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণিত করেন। শুরুর সুবিধা কাজে লাগায় মধ্যাঞ্চল। পেসার রবিউলের আউট সুইংয়ে খোঁচা দিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন ২ রান করা মোহাম্মদ আশরাফুল।
তরুণ ব্যাটসম্যান শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে লড়াই করেন পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তাদের ব্যাটে প্রতিরোধ পায় দলটি। এ সময়ে আলগা বলে বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি হজম করেন ওয়ালটনের বোলাররা। তবে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ওয়ালটনকে আবার এগিয়ে নেন রুবিউল। ৩২ রান করা ইমরুল শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েন।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে মধ্যাঞ্চল আরও ২টি উইকেট পায়। প্রথম স্পেলে উইকেটশূন্য থাকা রনি দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ওভারে আউট করেন ইরফান শুক্কুরকে। বাঁহাতি পেসারের বল কাট করতে গিয়ে শুভাগতর হাতে ক্যাচ দেন ইরফান। এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুব দ্রুতই বিদায় নেন। হাসান মুরাদের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
দ্বিতীয় সেশনেও মধ্যাঞ্চলের শিকার ২ উইকেট। ৭২ রান করা শাহাদাত হোসেন দিপুকে ফেরান মুরাদ। দেয়াল তুলে দাঁড়ানো নাদিফ চৌধুরীকে ফেরান রনি। শরীরের ওপর তাক করা এক শর্ট বলে গ্লাভস ছুঁইয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাদিফ।
বিরতির আগে যেখানে শেষ করেন রনি, বিরতির পর সেখান থেকেই শুরু করেন। বাঁহাতি এই পেসারের তৃতীয় শিকার প্রিতম কুমার। এরপর আরও ২ উইকেট নিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন রনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট পেলেন বাংলাদেশের এই পেসার। ৫ উইকেট পেলেও খরুচে ছিলেন তিনি, ২০.৫ ওভারে ৯৩ রান দেন রনি।