বিপিএল আয়োজনে চ্যালেঞ্জ দেখছে বিসিবি
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) অনুষ্ঠিত হয়নি। চলতি বছরও ঘরোয়া ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি এই আসরটি আয়োজন করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে অষ্টম আসরের সব কিছুই চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী বছরের ২১ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে বিপিএল। আসরটি আয়োজনে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকবে বলে মনে করছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
দেশ এখনও পুরোপুরি করোনামুক্ত নয়। জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকেই বিপিএল খেলতে হবে ক্রিকেটারদের। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচির কারণে তাড়হুড়ো করে আসরটি আয়োজন করা হচ্ছে বলে আরও কিছু চ্যালেঞ্জ থাকবে বলে মনে করেন নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, 'চ্যালেঞ্জ তো কিছু আছেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়টা বের করাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের ইন্টারন্যাশনাল কমিটমেন্ট যেটা হয়েছে, এফটিপি যেটা বলি; সে অনুযায়ী আমাদের স্লটটা খুব লিমিটেড। আমাদের মধ্যে কোনো অপশন ছিল না। এগুলোকে অ্যাডজাস্ট করতে হয়েছে। কিছু সীমাবদ্ধতা তো থাকবেই। তবুও চেষ্টা করব যে যতটুকু আকর্ষণীয় করা যায় ইভেন্টটা।'
বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর। ড্রাফটে ১৫৪ জন দেশি ও ৪০৬ জন বিদেশি ক্রিকেটার নাম লিখিয়েছেন। তবে বিদেশিদের মধ্যে নেই কোনো তারকা ক্রিকেটার। এ নিয়ে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, '(হাই প্রোফাইল ক্রিকেটার) কিছু তো পাওয়া যাচ্ছেই। ড্রাফটের বাইরে যারা আছেন, তারা তো সরাসরি করে নিচ্ছেন। হয়তো শিগগিরই আপনারা নামগুলো জেনে যাবেন।'
'আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার রয়েছে ৪০০ জন এর উপরে। এই মুহূর্তে আমি নামগুলো বলতে পারছি না। কারণ এখনও সময় রয়েছে। আজকের মধ্যে আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কাদের রিটেইন করেছে এবং কারা ড্রাফটে থাকবে, এই বিষয়ে একটা পরিষ্কার চিত্র পাব। যে দলগুলো অংশ নিচ্ছে, তাদের আমরা এটা জানিয়ে দেব।' যোগ করেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী।
আগামী ২১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে বিপিএল। ছয় দলের অংশগ্রহণের এই আসরটি ডাবল রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে, ম্যাচ হবে ৩৪টি। তিনটি ভেন্যুতে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ভেন্যু তিনটি হলো মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম।