৪০২ দিন পর মাঠের লড়াইয়ে মাশরাফি
শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০২০ সালের মার্চে। যেকোনো ধরনের ক্রিকেটেও সর্বশেষ ম্যাচ খেলার সময় বছর ছাড়িয়ে গেছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি খেলার পর মাঠের কোথাও ছিলেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। ক্রিকেটের কোনো কার্যক্রমেই ছিলেন না জাতীয় দলের সফলতম ওয়ানডে এই অধিনায়ক। অবশেষে অপেক্ষা ফুরালো তার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মিনিস্টার ঢাকার হয়ে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে খেলতে নেমেছেন তিনি।
২০২১ সালটা দর্শক হিসেবে কেটেছে মাশরাফির। করোনাভাইরাসের প্রকোপে এ বছর বিপিএল হয়নি, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি হলেও ফিটনেস সমস্যার কারণে খেলা হয়নি তার। কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ওয়ানডে লিগেও খেলার কথা ছিল মাশরাফির। শেষ পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টেও খেলা হয়নি অভিজ্ঞ এই পেসারের।
বিপিএলে মিনিস্টার ঢাকার হয়ে শুরু থেকে খেলার কথা থাকলেও প্রথম তিন ম্যাচে চোটের কারণে খেলতে পারেননি মাশরাফি। বিপিএলকে সামনে রেখে গত ৬ জানুয়ারি অনুশীলন শুরু করেন তিনি। সেদিন পিঠের ব্যথার কারণে সেভাবে বোলিং করা হয়নি তার।
চিকিৎসকের পরামর্শে কয়েকদিনের বিশ্রামে থাকেন মাশরাফি। বিশ্রাম শেষে মাঠে ফেরার দ্বিতীয় দিনে নতুন চোট পড়েন সাবেক এই অধিনায়ক। সেদিন মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে বোলিং করার সময় কোমড়ের নিচের অংশে (গ্লুটস) চোট পান মাশরাফি। মাঠে ফিরতে গত কয়েকদিন অনুশীলন চালিয়ে যান তিনি। পুরো রান আপে বোলিং অনুশীলন করে অবশেষে মাঠে ফিরলেন ডানহাতি এই পেসার।
লম্বা ক্যারিয়ারে অনেকবার চোটে পড়তে হয়েছে মাশরাফিকে। বারবার ছিটকে যেতে হয়েছে তাকে। ক্যারিয়ারের শুরুতে এমন দীর্ঘ বিরতি পড়েছে তার ক্যারিয়ারে। ২৬ ডিসেম্বর ২০০১ থেকে ২০০৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪০৮ দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে মাশরাফিকে।