মাশরাফির ফেরার ম্যাচে ঢাকার বড় হার
দীর্ঘ বিরতির পর মাঠের লড়াইয়ের ফিরলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু বোলিং দেখে বোঝার উপায় নেই এক বছরের বেশি সময় ধরে কোনো ধরনের ক্রিকেট ম্যাচ খেলেননি তিনি। সেই আগের লাইন-লেংন্থে চিরচেনা ভঙ্গিমায় বোলিং করে গেলেন ওয়ানডের সফলতম অধিনায়ক। কিপ্টে বোলিংয়ে নিলেন দুটি উইকেটও। এতে অবশ্য দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে হেরে গেছে মাশরাফি, তামিমদের দল মিনিস্টার ঢাকা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে ঢাকা। আসরে ভালো সময় যাচ্ছে না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের। চার ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতেছে দলটি। এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তলানিতে ঢাকা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা মিনিস্টার ঢাকা বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। তাসকিন আহমেদ ও ম্যাচসেরা নাজমুল ইসলাম অপুর বোলিং তোপে ১৮.৪ ওভারে ১০০ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। জবাবে এনামুল হক বিজয় ও কলিন ইনগ্রামের ব্যাটে ১৮ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটেই জয় তুলে নেয় সিলেট।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না সিলেটের। দলীয় ২১ রানে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান লেন্ডল সিমন্সকে হারায় তারা। মাশরাফির গুড লেংন্থের শর্ট ডেলিভারি উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে রুবেল হোসেনের হাতে ধরা পড়েন ১৬ রান করা সিমন্স।
এতে চাপে পড়তে হয় সিলেটকে। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ রানের জুটি গড়ে তোলেন এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ মিঠুন। ১৭ রান করা মিঠুনের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। কলিন ইনগ্রামকে সঙ্গে শেষ করে আসতে পারতেন বিজয়। কিন্তু ৯৯ রানে থামতে হয় ডানহাতি এই ওপেনারকে। ৪৫ বলে ৪টি চার একটি ছক্কায় ৪৫ রান করেন তিনি। ইনগ্রাম ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪০২ দিন পর ম্যাচ খেলতে নামা মাশরাফি ৪ ওভারে ২১ রানে ২টি উইকেট নেন। বাকি উইকেটটি নেন স্পিনার হাসান মুরাদ।
এর আগে ব্যাটিং করা মিনিস্টার ঢাকার পুরো ইনিংসে ভাঙনের সুর বেজে গেছে। কেউই সেভাবে ব্যাট হাতে দলকে পথ দেখাতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এ ছাড়া শুভাগত হোম ২১, নাঈম শেখ ১৫ ও রুবেল হোসেন ১২ রান করেন। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ৩ ও মোহাম্মদ শাহজাদ ৫ রান করেই থামেন এদিন।
ম্যাচসেরা নাজমুল অপু ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন। তাসকিনের শিকার ৩ উইকেট। এ ছাড়া সোহাগ গাজী ২টি ও অধিনায়ব মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত একটি উইকেট নেন।