মুজিবকে সামলানোর পথ জানা ছিল না অধিনায়ক মুশফিকের
বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। স্পিনের বিপক্ষেও তিনি সবচেয়ে সাবলীল। সেই মুশফিকুর রহিমের কণ্ঠেই ঝরল হতাশা, জানালেন অসহায়ত্বের কথা। ফরচুন বরিশালের আফগান স্পিনার মুজিব-উর-রহমানকে কীভাবে সামলাতে হবে, অধিনায়ক হিসেবে সেটা জানা ছিল না তার। বরিশালের বিপক্ষে হারের পর মুশফিক নিজেই জানালেন এ কথা।
দুদিন আগেই বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে ফরচুন বরিশাল শিবিরে যোগ দেন মুজিব। শনিবার সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন আফগানিস্তানের ডানহাতি এই অফ স্পিনার। মাঠে নেমেই বল হাতে ভেল্কি দেখিয়েছেন তিনি। ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন মুজিব।
এতে অবশ্য মুজিবের স্পিন ঘূর্ণির ঠিক বর্ণনা হয় না। ইনিংসের প্রথম ওভারেই খুলনার ব্যাটিং লাইন আপ ধসিয়ে দেন তিনি। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে আন্দ্রে ফ্লেচার ও সৌম্য সরকারের উইকেট তুলে নেন মুজিব। দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে খুলনার ব্যাটসম্যানদের আরও চেপে ধরেন তারকা এই স্পিনার। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১০ রান খরচা করেন মুজিব।
কীভাবে মুজিবকে খেললে সফলতা মিলবে, এ নিয়ে ব্যাটসম্যানদের কোনো পরামর্শ দিতে পারেননি মুশফিক। উল্টো আফগান স্পিনারকে ভয়ে ছিলেন তিনি। ম্যাচের পর খুলনা অধিনায়ক বলেন, 'দল হিসেবে মুজিবকে সামলানোর পথ জানা ছিল না আমার, সে তাদের সেরা বোলার। আমরা জানতাম সে হুমকি হবে আমাদের জন্য।'
পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ের কথা জানিয়ে মুশফিক বলেন, 'রান তাড়া করার মতো উইকেট ছিল এটা। আমি মনে করেছিলাম বরিশাল ১৬০ বা তার বেশি করবে। কিন্তু আমরা বোলিংয়ে ভালো করে ১৪১ রানে আটকে রাখি তাদেরকে। ব্যাটিংয়ে নেমে আমরা জুটি গড়তে পারিনি। আশা করি সামনে ম্যাচে আমরা ভালোভাবে ফিরে আসব।'
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করা ফরচুন বরিশাল ৯ উইকেটে ১৪১ রান তোলে। জবাবে মাঝারি এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে নেমে শুরুতেই দিক হারানো খুলনা টাইগার্স মাঝে ইনিংস গুছিয়ে নিয়েও শেষ করতে পারেনি। ১৯ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয়ে যায় মুশফিকের দল, মেনে নিতে হয় ১৭ রানের হার। চার ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে আছে খুলনা।