ঢাকায় থামলো কুমিল্লার জয়রথ
দুই দলের দুই রকম পথচলা। চার ম্যাচে তিনটিতে হেরে এলোমেলো অবস্থায় চট্টগ্রামে আসে মিনিস্টার ঢাকা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ছিলো ফুরফুরে মেজাজে। প্রথম দুই জিতে চট্টগ্রামে আসে তারা। চট্টগ্রামে এসে দুই দলের পথচলাতেই এসেছে পরিবর্তন। পঞ্চম ম্যাচে দারুণ জয়ে ছন্দে ফেরে ঢাকা দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় তুলে নিলো। আর ঢাকা বাধাতেই থামলো কুমিল্লার জয়রথ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লাকে ৫০ রানে হারিয়েছে মিনিস্টার ঢাকা। ৬ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে উঠে গেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। প্রথম তিন ম্যাচেই জয় পাওয়া কুমিল্লা চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম হারের স্বাদ নিলো। ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে বিপিএলের দুই বারের চ্যাম্পিয়নরা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে মিনিস্টার ঢাকা। তামিম ইকবালের ৪৬ ও ম্যাচসেরা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হার না মানা ৭০ রানের অসাধারণ ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৮১ রান তোলে ঢাকা। জবাবে আন্দ্রে রাসেল, কায়েস আহমেদ, এবাদত হোসেনদের বোলিং তোপে ১৭.৩ ওভারে ১৩১ রানে অলআউট হয়ে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লা পুরো ইনিংসজুড়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিং করে। রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনার লিটন কুমার দাসকে হারানো কুমিল্লা দলীয় ১২ রানের মাথায় ফাফ ডু প্লেসির উইকেটও খোয়ায়। এরপর মাহমুদুল হাসান জয় ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েসই যা রান করেন। তৃতীয় উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়েন তারা।
২৩ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৮ রান করে আউট হন ইমরুল। জয় ৩০ বলে ৮টি চারে ৪৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া করিম জানাত ১৭, আরিফুল হক ১২ ও তানভীর ইসলাম ১০ রান করেন। ঢাকার আন্দ্রে রাসেল সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। এ ছাড়া এবাদত হোসেন ও করিম জানাত ২টি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট পান রুবেল হোসেন। মাশরাফি বিন মুর্তজা এদিন খরুচে ছিলেন। ২ ওভারে ২১ রান খরচায় উইকেটশূন্য থাকেন তিনি।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ঢাকা। শুরুতেই মুস্তাফিজের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফিরে যান মোহাম্মদ শাহজেদ। এরপর ইমরান উজ্জামানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৫ রান করে ইমরান আউট হলে মাহমুদউল্লহ রিয়াদের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়েন তামিম।
আগের ম্যাচে অসাধারণ সেঞ্চুরি করা তামিম এদিন চার রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন। ৩৫ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৬ রান করে আউট হন অভিজ্ঞ এই ওপেনার। তামিম বিদায় নিলেও দলকে চাপ বুঝতে দেননি মাহমুদউল্লাজ। অষ্টম ওভারে উইকেটে যাওয়া ঢাকার অধিনায়ক চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংয়ে খেলেন টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
১৪তম ওভারে কুমিল্লার পেসার শহিদুল ইসলামকে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ হাজার রানের মাইলকফলক স্পর্শ করেন মাহমুদউল্লাহ। ৪১ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এই ইনিংস খেলার পথে বিপিএলের ২ হাজার রানও পূর্ণ করেন তিনি। কুমিল্লার তানভীর ইসলাম ২টি উইকেট নেন। এ ছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান, শহিদুল ইসলাম করিম জানাত একটি করে উইকেট নেন।