রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে মুশফিকদের হারাল মাহমুদউল্লাহর ঢাকা
মিনিস্টার ঢাকার ক্রিকেটাররা হয়তো তখন দ্বিধাতেই ছিলেন, ভাবছিলেন আগের ম্যাচের কথা। জেতার জন্য শেষ ওভারে ৯ রান দরকার ছিল, যা তুলতে পারেননি তামিম ইকবাল ও নাঈম শেখ। ৩ রানের হারের পর দিন আবার একই রোমাঞ্চ, এবার ৬ বলে দরকার ১১ রান। এবার আর শেষ বল পর্যন্ত রোমাঞ্চ নয়, থিসারা পেরেরার করা ওভারের প্রথম দুই বলে দুই ছক্কা মেরে মিনিস্টার ঢাকাকে দারুণ জয় এনে দিলেন শুভাগত হোম।
বুধবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খুলনা টাইগার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মিনিস্টার ঢাকা। এ জয়ে প্লে-অফের পথে এগিয়ে থাকলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ৯ ম্যাচে ৪ জয়ে ৯ পয়েন্ট (একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় এক পয়েন্ট) নিয়ে তালিকার তিন নম্বরে তারা। ৮ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে আছে মুশফিকুর রহিমের দল খুলনা টাইগার্স।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে খুলনা টাইগার্স। চরম বাজে শুরুর পর সিকান্দার রাজার হাফ সেঞ্চুরি এবং শেখ মেহেদি হাসান, মুশফিকুর রহিম ও থিসারা পেরেরার ছোট ছোট ইনিংসে ৮ উইকেটে ১২৯ রান তোলে খুলনা। জবাবে জহুরুল ইসলাম অমি, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শামসুর রহমান শুভ ও শুভাগত হোমের ব্যাটে ৪ বল আগে ৫ উইকেটে জয় নিশ্চিত হয় মিনিস্টার ঢাকার।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ঢাকা। দলীয় ১২ রানের মধ্যেই ফিরে যান দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরান উজ্জামান। শুরুতেই দিক হারানো দলের হাল ধরেন জহুরুল ও মাহমুদউল্লাহ। তৃতীয় উইকেটে তারা ৫৭ রানের জুটি গড়েন।
জহুরুলের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এর আগে ৩৫ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩০ রান করেন তিনি। শামসুরকে নিযে আরও কিছুটা পথ পাড়ি দেন মাহমুদউল্লাহ। এই জুটিতে ৩২ রান পায় ঢাকা। দলীয় সংগ্রহ ১০০ পরপরই থামেন মাহমুদউল্লাহ। ঢাকার অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান।
শামসুর রহমান শুভ ১৪ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় ২৫ রান করেন। বাকি কাজটুকু সারেন শুভাগত হোম ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। শুভাগত ৯ বলে ২টি ছক্কায় ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ ওভারে টানা দুই ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। অপরাজিত ১০ রান করেন ওমরাজাই। খুলনার থিসারা পেরেরা ২টি উইকেট নেন। এ ছাড়া নাবিল সামাদ, রুয়েল মিয়া ও খালেদ আহমেদ একটি করে উইকেট পান।
এর আগে ব্যাটিং করা খুলনার হয়ে কেবল সিকান্দার রাজা বড় ইনিংস খেলেন। জিম্বাবুয়ের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৫০ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। ১২ রানের মধ্যে চার উইকেট হারানো দলকে তিনিই মূলত লড়াইয়ের পূঁজি এনে দেন। এ ছাড়া মুশফিক ১২, মেহেদি হাসান ১৭ ও থিসারা ১২ রান করেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ঢাকার স্পিনার আরাফাত সানি ও ওমরজাই ২টি করে উইটে নেন। একটি করে উইকেট পান রুবেল হোসেন, ফজলহক ফারুকী ও কাইস আহমেদ।