দুর্বার মঈনে কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা, বিপাকে মুশফিকরা
প্লে-অফ ওঠার পথে নবম ম্যাচটি মহা গুরুত্বপূর্ণ ছিল খুলনা টাইগার্সের জন্য। জয়ের লক্ষ্য নিয়েই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল মুশফিকুর রহিমের দল। এমন ম্যাচে জয় তো দূরের কথা, সামান্যতম লড়াইও করতে পারলো না তারা। ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালানোর পর বল হাতেও খুলনার ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিলেন কুমিল্লার ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী। তাতে দাপুটে জয় তুলে নিলো বিপিএলের দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খুলনা টাইগার্সকে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে উঠেছে তারা। খুলনার বিপক্ষে এই জয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলাও নিশ্চিত হয়েছে তাদের। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ সাকিব আল হাসানের দল ফরচুন বরিশাল।
কুমিল্লার বিপক্ষে হারে প্লে-অফে ওঠার পথ কঠিন হলো খুলনার। বাকি থাকা এক ম্যাচে জিতেও কঠিন সমীকরণের মাঝে পড়তে হতে পারে তাদের। পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে থাকা মিনিস্টার ঢাকা দশম ম্যাচে জিতলেই প্লে-অফে উঠবে। চতুর্থ দল হতে তখন লড়াই হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনার মধ্যে, দুই দলই ৪টি করে ম্যাচ জিতে ৮ পয়েন্ট পেয়েছে। শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম হারলে খুলনার পথ সহহ হবে। শেষ ম্যাচ জিতলেই প্লে-অফে যাবে মুশফিকের দল। শেষ ম্যাচে দুই দলই জিতলে নেট রান রেটের হিসাবে চতুর্থ দল নির্বাচন করা হবে।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। লিটন কুমার দাস ও ফাফ ডু প্লেসির পর ম্যাচসেরা মঈন আলীর ব্যাটিং তাণ্ডবে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান তোলে ইমরুল কায়েসের দল। জবাবে মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, মঈন আলী, আবু হায়দারদের দারুণ বোলিংয়ে ১৯.৩ ওভারে ১২৩ রানে গুটিয়ে যায় খুলনার ইনিংস।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই দিক হারানো খুলনা আর পথ খুঁজে পায়নি। কুমিল্লার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে নিয়মিত ধারায় উইকেট হারিয়ে গেছে তারা। সর্বোচ্চ ২৬ রানের ইনিংস খেলেন থিসারা পেরেরা। এ ছাড়া আন্দ্রে ফ্লেচার ১৬, সৌম্য সরকার ২২, ইয়াসির আলী রাব্বি ১৮ ও শেখ মেহেদি হাসান ১১ রান করেন। কুমিল্লার আবু হায়দার ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পান মুস্তাফিজ, নাহিদুল ও মঈন।
এর আগে ব্যাটিং করা কুমিল্লার হয়ে দাপুটে শুরু করেন লিটন কুমার দাস। যদিও ইনিংসটা বড় করা হয়নি তার। ১৭ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪১ রান করেন তিনি। এর পর ফাফ ডু প্লেসি ৩৬ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৬ রান করেন। দলের ইনিংস বড় করার বাকি কাজটুকু করেন মঈন আলী। ইংল্যান্ডের বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩৫ বলে একটি চার ও ৯টি ছক্কায় ৭৫ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেন। খুলনার পেরেরা ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান খালেদ আহমেদ, নাবিল সামাদ, শেখ মেহেদি ও সৌম্য সরকার একটি করে উইকেট পান।