‘ফাইনাল খেলা ছাড়া এখান থেকে যাব না’- বলেছিলেন ফ্লেচার
'করো, নয়তো মরো'- খুলনা টাইগার্সের সামনে ছিল এই একটাই সমীকরণ। বিপিএলের প্লে-অফে উঠতে জয় ছাড়া উপায় ছিল না মুশফিকুর রহিমের দলের। এমন ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স গড়ে রান পাহাড়, খুলনাকে দেয় ১৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্য। চাপের বোঝা মাথায় নিয়ে মাঠে নামলেও খেই হারাননি খুলনার দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ও শেখ মেহেদি হাসান। রান পাহাড় টপকে দারুণ জয়ে দলকে ফ্লে-অফে তুলেছেন তারা।
১৮২ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে দলকে ৯ উইকেটের বড় জয় উপহার দিয়েছেন তাণ্ডব চালিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ফ্লেচার ও দারুণ হাফ সেঞ্চুরি করা শেখ মেহিদি। বড় লক্ষ্য পাড়ি দেওয়ার কঠিন কাজটি যে করা সম্ভব, সেটা আগেই বলেছিলেন ফ্লেচার। ম্যাচসেরা ক্যারিবীয় এই ওপেনার ব্যাটিংয়ে নামার আগে বলেছিলেন, ফাইনাল না খেলে বাংলাদেশ থেকে যাবেন না তিনি।
১০১ রানের ইনিংসটি সেঞ্চুরির চেয়েও বেশি কিছু জানিয়ে ফ্লেচার বলেন, 'এটা আমার কাছে সেঞ্চুরির চেয়েও বেশি। আমি ছেলেদের বলছিলাম, ফাইনাল খেলা ছাড়া এখান থেকে যাব না। আমাদের লক্ষ্য এখনও পূরণ হয়নি। এখনও উদযাপনের সময় আসেনি। আমরা প্লে-অফ নিশ্চিত করলাম মাত্র। আমাদের ফাইনাল খেলতে হবে। ভালো খেলার সুযোগ আছে। এটা আমার দ্বিতীয় বিপিএল, দ্বিতীয় সেঞ্চুরিও পেলাম। আশা করছি সামনেও ভালো কিছু হবে। আমি খুবই খুশি।'
বড় লক্ষ্য দেখে ঘাবড়ে গেলেও বিশ্বাস হারাননি ফ্লেচার। নিজেকে সামলে অনবদ্য ইনিংস খেলা খুলনার এই ওপেনার বলেন, 'সত্যি বলতে আমরা যখন ফিল্ডিং করছিলাম তখন আলোচনা করছিলাম ১৬০-১৭০ হলেও ঘাবড়াবার কিছু নেই। আমরা লক্ষ্য তাড়া করতে পারব। কারণ উইকেট ভালো ছিল। সত্যি বলতে তারা যখন ১৮০ রান করে ফেলল, তখন একটু কঠিন মনে হচ্ছিল। আমি নিজেকে সামলে নিই। মেহেদি ভালো ইনিংস খেলেছে। আমরা দুজন চিন্তা করেছি যতটা সম্ভব ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা যায়।'
ব্যক্তিগত ৭১ রানে মঈন আলীর বলে এলবিডব্লিউ হন ফ্লেচার। আম্পায়ার আউট দিলে তিনি ফিরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মেহেদি তাকে থামিয়ে রিভিউ নেন, বেঁচে যান ফ্লেচার। মেহেদির রিভিউয়ের প্রশংসা করে ফ্লেচার বলেন, 'ওই রিভিউটা দারুণ ছিল। আমার মনে হচ্ছিল প্লাম এলবিডব্লিউ হয়েছি। ওর বিশ্বাস ছিল বল আউটসাইড আঘাত করেছে। আমি তার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ও ভালোভাবে বলটা বুঝতে পেরেছে। আমি আউট হয়ে চলেই গিয়েছিলাম, সে আমাকে ফিরিয়ে আনে। এ জন্য আমি খুশি যে উইকেটে থাকতে পেরেছি এবং দলকে প্লে-অফে নিয়ে যেতে পেরেছি।'