বিপিএলের সেরা খেলোয়াড়ের পকেটে উঠবে কতো টাকা
বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ, ক্রিকেটার কিনতে অর্থের ঝনঝনানি, চ্যাম্পিয়ন প্রাইজমানি, সম্প্রচারের মান; সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম আসর দিয়ে তাক লাকিয়ে দিয়েছিল আয়োজকরা।
ফ্র্যাঞ্চাইজি সত্ত্ব পাওয়ার লড়াই, ক্রিকেটারদের নিলাম, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও ছিল বিশ্ব মানের। কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথে মানে ভাটা পড়েছে, রং হারিয়েছে বিপিএল। এর প্রভাব পড়েছে প্রাইজ মানি, টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারেও। প্রথম দুই আসরে টুর্নামেন্ট সেরাকে পুরস্কার হিসেবে গাড়ি দেওয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে মোটর সাইকেলও।
যদিও এসব এখন কেবলই স্মৃতি। আগের কয়েকটি আসরের মতো এবারও গাড়ি-মোটরসাইকেল থাকছে না। উল্টো করোনার দোহাই দিয়ে এবার বাজেট কমিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। টুর্নামেন্ট সেরা পাবেন মাত্র মাত্র ২ হাজার ডলার! বাংলাদেশে মুদ্রায় যা ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
বিপিএলে টুর্নামেন্ট সেরার প্রশ্নে অধিকাংশ সময়ে উঠে আসে সাকিব আল হাসানের নাম। ঘরোয়া আসরটির সাত আসরের তিনটিতেই টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। প্রথম দুই আসরে টুর্নামেন্ট সেরা হয়ে দুটি গাড়ি জেতেন সাকিব। ২০১৭ সালে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার হিসেবে পান মোটর সাইকেল।
এবারও টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বে ফরচুন বরিশালকে ফাইনালে তোলা সাকিব ব্যাটে-বলেও আলো ছড়িয়ে আসছেন। টানা পাঁচ ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে বিশ্ব রেকর্ড গড়া বরিশালের অধিনায়ক ১০ ম্যাচে ৩টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩০.৭৭ গড়ে করেছেন ২৭৭ রান। যা এখন পর্যন্ত আসরের সপ্তম সর্বোচ্চ। বল হাতেও অনবদ্য সাকিবের শিকার ১৫ উইকেট, যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। কিন্তু এবার টুর্নামেন্ট সেরা হলে দুই হাজার ডলার নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে তাকে।
টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারের মতো চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজ মানিও উল্লেখ করার মতো নয়। শিরোপাজয়ী দলটি পাবে ১ কোটি টাকা। রানার্সআপ দল পাবে ৫০ লাখ। এ ছাড়া ফাইনালের ম্যাচ সেরা পাবেন ১ হাজার ডলার। যদিও টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতে সেরা খেলোয়াড় পেয়েছেন ৫০০ ডলার করে।
বিপিএলের আগের আসরের টুর্নামেন্ট সেরারা
সাকিব আল হাসান: খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস (২৮০ রান ও ১৫ উইকেট)
সাকিব আল হাসান: ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স (৩২৯ রান ও ১৫ উইকেট)
আসগর জাইদি: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (২১৫ রান ও ১৭ উইকেট)
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ: খুলনা টাইটান্স (৩৯৬ রান ও ১০ উইকেট)
ক্রিস গেইল: রংপুর রাইডার্স (৪৮৫ রান)
সাকিব আল হাসান: ঢাকা ডায়নামাইটস (৩০১ রান ও ২৩ উইকেট)
রাজশাহী রয়্যালস: আন্দ্রে রাসেল (২২৫ রান ও ১৪ উইকেট)