বাহরাইনের বিপক্ষে হেরে বাছাই পর্ব শুরু বাংলাদেশের
শক্তিতে প্রতিপক্ষ বেশ এগিয়ে। ম্যাচ বাঁচানোই ছিল বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য। জামাল ভূঁইয়ার দলের জন্য ড্র হতে পারতো বড় প্রাপ্তি। কিন্তু রক্ষণ আগলে বেশিক্ষণ খেলতে পারলো না সফরকারীরা। বাহরাইনের অবিরত আক্রমণের সামনে দেয়াল তুলেও দলকে বাঁচাতে পারলেন না বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো হাভিয়ের কাবরেরার দলকে।
বুধবার মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরে বুকিত জলিল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ বছাইয়ের ম্যাচে বাইরাইনের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে গেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে দুই গোল হজম করা বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের জাল অক্ষত রাখলেও প্রতিপক্ষের জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। বাইরাইনের পক্ষে গোল করেন আবদুল্লাহ হারাম ও কামিল আল আসওয়াদ। আগামী শনিবার 'ই' গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ড্র করা ম্যাচের শুরুর একাদশ নিয়েই মাঠে নামে বাংলাদেশ। রক্ষণভাগ মজবুত করতে শুরুর দিকে প্রায় সব খেলোয়াড়ই নিচের দিকে নেমে আসে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে একটু একটু করে ছড়িয়ে খেলতে শুরু করে দল। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ নেওয়া যায়নি ম্যাচের। ছন্দময় ফুটবল খেলে যেতে থাকে বাহরাইন।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে নম্বরে ৮৯ আছে বাহরাইন, বাংলাদেশ সেখানে ১৮৮ নম্বরে। ৯৯ ধাপ এগিয়ে থাকা দলকে শুরুতেই হতাশ করেন জিকো। কর্নারে মোহামাদ বেনাদ্দির দুর্বল হেড ড্রপ খেয়ে ছুটছিল জালের দিকে, ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান বাংলাদেশ গোলরক্ষক, অরক্ষিত বল দূরে পাঠিয়ে দলকে বিপমুক্ত করেন আতিকুর রহমান ফাহাদ।
২২তম মিনিটে কোমাইল হাসান আল আসওয়াদের ফ্রি-কিক সহজেই গ্লাভসে নেন জিকো। একটু পর আলি আব্দুল্লাহ হারামের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট ফিস্ট করে ফেরান তিনি। ২৬তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। কিন্তু রাকিব হোসেনের আড়াআড়ি ক্রসে হেড নিতে পারেননি সাজ্জাদ হোসেন। এটাই বাংলাদেশের পরিষ্কার আক্রমণ ছিল। এ ছাড়া আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা।
২৯তম মিনিটে সতীর্থের ব্যাক হিল ফ্লিকে রাশেদ খলিল কোনাকুনি শট নেন, এবারও ফেরান জিকো। ৩৪তম মিনিটে দলকে আর বাঁচাতে পারেননি তিনি। কর্নার কিক থেকে নিখুঁত হেডে বল জালে জড়ান আব্দুল্লাহ হারাম। এরপর আক্রমণেল ধার আরও বাড়ায় বাহরাইন।
৮ মিনিট পরই গোলের দেখা পেয়ে যায় তারা। ৪২তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরাল নিচু শটে আল আসওয়াদ ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। বাহরাইনের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। ৪৪ বছর আগে ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্টস কাপের সেই ম্যাচেও ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।