অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা: আসামী অনুপস্থিত, পিছিয়েছে স্বাক্ষ্যগ্রহণ
সিলেটে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ আবার পিছিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) স্বাক্ষ্য গ্রহণ করার কথা থাকলেও কারাগারে থাকা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী শফিউর রহমান ফারাবীকে আদালতে হাজির না করায় তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।
মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী এমাদউল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন জানান, বৃহস্পতিবার সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মমিনুন নেসার আদালতে এই মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ছিলো।
যথাসমেয় নির্ধারিত সাক্ষী পুলিশ পরিদর্শক মো. নুরুল আলম, ময়নাতদন্তকারী ডা. শামসুল ইসলাম ও সংস্কৃতিকর্মী রজত কান্তি গুপ্ত আদালতে হাজির হন। তবে কারান্তরীণ আসামী শফিউর রহমান ফারাবিকে আদালতে হাজির করা হয়নি। একারণে স্বাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেন আদালত।
নানা অজুহাতে চাঞ্চল্যকর এই মামলার বিচারকাজ বিলম্বিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এমাদউল্লাহ শহীদুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরীর সাগরদিগীর পাড়ের নিজ বাসার সামনে উগ্রবাদীরা কুপিয়ে অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যা করে। এ ঘটনায় অনন্তর বড় ভাই রত্নেশ্বর বাদী হয়ে হয়ে নগরীর বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র প্রদান করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এজাহাভুক্ত আসামীরা হলেন- মান্নান ইয়াহিয়া, আবুল খয়ের রশিদ আহমদ, শফিউর রহমান ফারাবী, আবুল হোসেন, ফয়সল আহমদ ও হারুন অর রশিদ। এর মধ্যে মান্না ইয়াহিয়া কারাগারে আটক অবস্থায় মারা যান। আবুল খয়ের রশিদ আহমদ ও শফিউর রহমান ফারাবী কারান্তরীন এবং অপর আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলায় স্বাক্ষী করা হয়েছে ২৯ জনকে। এর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
বিজ্ঞান লেখক অনন্ত বিজয় দাশ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে পূবালী ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করেন। সিলেটের জাউয়াবাজারে অবস্থিত পূবালী ব্যাংক শাখায় কর্মরত ছিলেন তিনি। ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞান বিষয়ক একটি ছোট কাগজ সম্পাদনা করতেন অনন্ত।
উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার বিচার। অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।