চাইলেই কেনা যায় দ্বীপ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশাল দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড কিনতে চেয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তবে বাজারে চাইলেই যে কেউ কিন্তু কিনে ফেলতে পারে একটি দ্বীপ। বলতে কি, সমুদ্রের বুকে ভেসে থাকা ছোট-বড় বিভিন্ন দ্বীপ হরহামেশাই কেনাবেচা হচ্ছে।
ইদানিং হলিউডের সেলিব্রেটিদের মধ্যে দ্বীপ কেনা একটা শখের ব্যাপার মাত্র। আর আপনিও যদি তাদের মতো ধনকুবের হয়ে থাকেন, কিনে ফেলতে পারেন নিজস্ব একটা দ্বীপ।
বাহামা, ভূমধ্যসাগর, গ্রীসের উপকূলে এমন অসংখ্য দ্বীপ আছে যাদের গায়ে টাঙানো আছে ‘বিক্রি হইবে’ সাইনবোর্ড! দাম ১০ লাখ থেকে ৯ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ হবে ৯০ কোটি থেকে ৯০০ কোটি।
কিনে ফেলতে পারেন পছন্দসই আকার-আকৃতির যেকোনও দ্বীপ।
তবে কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করে নেয়া জরুরি।
আরও একবার চিন্তা করে দেখুন
আসলেই দ্বীপ কিনে ফেলতে চান কিনা ভেবে দেখুন। যদি এটা কেবলই এক মুহূর্তের আকাঙ্ক্ষা হয়ে থাকে, তবে না কেনাই ভালো হবে, নয়তো পরে পস্তাতে পারেন।
হঠাৎ কোনো কারণে যখন একগাদা টাকা লাগবে, দ্বীপটা কোন কাজে আসবে না। কেননা চাইলেই তখন কিন্তু দ্বীপটা আবার বিক্রি করতে পারবেন না।
তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ভালো করে ভেবে নিন।
খোঁজ-খবর করে নিন
চোখের সামনে যে কোনো দ্বীপ কিন্তু কেনা ঠিক হবে না। যে দ্বীপগুলো বিক্রির জন্য নয়, সেগুলো কিনতে গেলে আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। আর এরকম সরকারি কিংবা ব্যক্তিমালিকানার দ্বীপের সংখ্যাই কিন্তু বেশি।
তাই কেনার আগে ভালো করে খোঁজ-খবর নিয়ে নিন।
নিজের মতো করে সাজিয়ে নিন আপনার দুনিয়া
আপনার দ্বীপটি যদি একেবারে জনশূন্য হয়ে থাকে, তবে নিজের মতো করে সাজিয়ে-গুছিয়ে নিতে হবে। একটা দ্বীপ তো শহরের মাঝখানে সাধারণ একখণ্ড জমি নয়, তাই এখানে আপনি কিভাবে থাকতে চান, সে অনুযায়ী গুছিয়ে নিতে হবে।
যেমন, মনে করুন, আপনার দ্বীপটা যদি খুব ছোটও হয় তবু অন্তত খাবার পানির একটি উৎস, খাদ্যের জন্য একখণ্ড সবজির বাগান আর থাকার জন্য একটা ঘর কিন্তু থাকতেই হবে।
আর দ্বীপে আসা-যাওয়ার জন্য যাতায়াত ব্যবস্থাও থাকা দরকার, যেমন- নৌকা বা স্পিড বোট।
দূর্যোগের জন্য প্রস্তুত থাকুন
সমুদ্রের বুকে থাকবেন আর এর আপদ সইবেন না, তা কি হয়? যেকোনো সময় ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, জলোচ্ছ্বাস এসে হাজির হতে পারে। তাই শক্ত-পোক্ত একটা বাড়ি বা আশ্রয়স্থল থাকা দরকার, যা আপনাকে রক্ষা করবে।