জ্বালানী খাতের কর্মকর্তাদের আরও দক্ষ হতে হবে : জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানী খাতের উন্নয়নে এই খাতের কর্মকর্তাদের আরও দক্ষ হতে হবে।
আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) ‘জ্বালানী নিরাপত্তা দিবস’ উপলক্ষ্যে পেট্রোবাংলার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “আর দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে এখাতের কোন প্রকল্পগুলো গ্রহণ করা লাভজনক হবে, তা বোঝার যোগ্যতা থাকতে হবে।”
আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) পালিত হচ্ছে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।
১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট বঙ্গবন্ধু বহুজাতিক কোম্পানি শেল ওয়েলের কাছ থেকে তিতাস, রশিদপুর, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ এবং কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্র কিনে নেন। ওই সময়ে ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ডে গ্যাসক্ষেত্রগুলো কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ২০১০ সালের ১২ আগস্ট এক পরিপত্রে ৯ আগস্টকে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকে প্রতিবছর এই দিন সরকার জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে জ্বালানি খাতের সাম্প্রতিক অর্জন, অগ্রগতি ও অন্যান্য বিষয়ে আজ জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোবাইল ফোনে এসএমএস দেওয়া হচ্ছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন দফতর ও কোম্পানিগুলোকে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। দিবসটির পালনের লক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে পেট্রোবাংলা কর্তৃক একটি স্মরণিকাও প্রকাশ করা হচ্ছে। নির্ধারিত কয়েকটি সড়কদ্বীপ (সার্ক ফোয়ারা, কদম ফোয়ারা) সজ্জিত করা হয়েছে।