খোঁপায় ফুলের সৌরভ ছড়ালেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
বিয়ের কনে রঙিন সাজে সাজবে, এটাই স্বাভাবিক। একেক সমাজে এই সাজ একেক রকম। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের কনের সাজে বাড়তি সৌন্দর্য এনে দেয় খোঁপায় ফুলের কারুকাজ।
এতকালের সেই রেওয়াজকেই পুঁজিতে পরিণত করেছেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কল্পনা রাজেশ। একদম নতুন ধরনের ব্যবসা শুরু করে তিনি এখন অনেকেরই আদর্শে পরিণত হয়েছেন।
ছোটবেলা থেকেই মাকে দেখেছেন ফুলে ফুলে বিয়ের কনের খোঁপা সাজিয়ে দিতে। স্থানীয়ভাবে পুলাজাদালু নামে পরিচিত এ সাজকে ঘিরে ক্যারিয়ার দাঁড় করানো ভাবনা কল্পনার মনে ধরা দেয় ২০১২ সালে। এই কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তখন দ্বিতীয়বারের মতো সন্তানসম্ভবা। পুলাজাদালু সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য নিলেন গুগলের। ঠিক করলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং আর করবেন না; ব্যবসায়ীই হবেন। তাই গড়ে তুললেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পেল্লিপুলাজাদা। তার ব্যবসা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। খবর বিবিসির।
পেল্লিপুলাজাদার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে কল্পনার বোনের বিয়ে। সেই বিয়েতে কনের খোঁপা সাজিয়ে দিয়েছিলেন তার মা। সেই ডিজাইনগুলোর মাধ্যমেই প্রথম কাস্টমার পেয়েছিলেন তিনি।
এই এক্সপেরিমেন্টের জন্য ৫০ হাজার রুপি দিয়ে উৎসাহ জুগিয়েছিলেন তার স্বামী। সেই টাকা দিয়ে প্রথম অর্ডারের এক্সেসরিজ কিনেছিলেন কল্পনা; নিয়োগ দিয়েছিলেন কয়েকজন সহকারিও। তিনিসহ কর্মীরা যেহেতু সবাই এমন ব্যবসায় অনভিজ্ঞ ছিলেন, তাই শুরুতে বেশ ভুগতে হয়েছিল তাকে। দ্রুতই ফুরিয়ে গিয়েছিল পুঁজির সব টাকা। তবু তিনি হাল ছাড়েননি।
ধীরে ধীরে এই একেবারেই নতুন ধরনের ব্যবসাটি নিয়ে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে। কাস্টমাররাও তার কাজের প্রশংসা করতে থাকেন। তিনি একা শুরু করলেও, তার কাজকে শুরুতে খুব কম মানুষই উৎসাহ জোগালেও, পেল্লিপোলাজাদা এখন অনেক বড় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভারতের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর ও আমেরিকায়ও রয়েছে এর বেশ কয়েকটি শাখা। কল্পনার প্রতিষ্ঠানে এখন ২০০ কর্মী কাজ করেন।
তার দেখাদেখি আরও অনেকেই এসেছেন এই ব্যবসায়।