চট্টগ্রামের কন্টিনেন্টাল ফুডের স্বাদ
কাঠের প্লেটে গরুর আকৃতির দিয়ে উপস্থাপনা করা হয় বিফ স্টেক! আকৃতি অনুসারে দেওয়া হয় গরুর বিভিন্ন অংশের মাংস। আকৃতির মাথার অংশে গরুর ব্রেন ফ্রাই থাকে। চট্টগ্রামের রিগালো রেস্তোরাঁয় এমন আকর্ষণীয়ভাবে বিফ স্টেক পরিবেশন করা হয়।
এই কন্টিনেন্টাল ফুডকে চট্টগ্রামে জনপ্রিয় করেছে রেস্তোরাঁটি।
আন্তর্জাতিক মানের স্টেক পরিবেশন করতে বিদেশ থেকে উন্নত মানের ওয়েগিউ বিফ আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি। এখানে ছয় ধরনের বিফ স্টেক পাওয়া যায়।
রিগালো জাপানিজ ফুডের জন্যও জনপ্রিয়। এখানে ওয়েস্টার্ন ফিউশান ডিস, এশিয়ান ফিউশান ফুড, জাপানি অ্যাপাটাইজার মানুষ গ্রহণ করেছেন।
রিগালোর উদ্যোক্তা আবরার শাহরিয়ার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমাদের এখানকার তেল, মাছ, মাংসও বিদেশ থেকে আমদানি করা। খাবার তো সব স্থানেই পাওয়া যায়। আমরা চেষ্টা করেছি, খাবারের সঙ্গে পরিবেশটা দিতে। কারণ পরিবেশটাই মুহূর্তগুলোকে স্মৃতিময় করে তোলে। চট্টগ্রামের মানুষকে আন্তর্জাতিক মানের খাবারের সঙ্গে ভালো পরিবেশ দিতে চেষ্টা করছি। বিশেষ করে বিভিন্ন কাজে আসা বিদেশিদের আমরা টার্গেট করেছি।'
পিৎজা, পাস্তা ও বার্গারি- কন্টিনেন্টাল ফুডের এই তিন আইটেমের জন্য চট্টগ্রামের মানুষ বেছে নেন ক্যাফে মিলানোকে। খাবারের স্বাদে ভিন্নতা আনাকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। যেমন চট্টগ্রামের ঝাল প্রিয় মানুষের জন্য ভিন্ন স্বাদে স্পাইসি গ্রিল লবেস্টার পরিবেশন করা হয়।
কন্টিনেন্টাল ফুডের বেশ কিছু আইটেমকে চট্টগ্রামে জনপ্রিয় করে তুলেছে মিলানো। রেস্তোরাঁটির পিৎজা পট পাই, রিং পিৎজা, পেরি পেরি চিকেনসহ বিভিন্ন ইউনিক রেসিপি বন্দরনগরীতে উপস্থাপন করেছে। অ্যাপিটাইজারের মধ্যে চিকেন চিলি চিস ফ্রাই, বিফ চিলি চিজ ফ্রাই, পেরি পেরি চিকেন উইংস, চিকেন নাচোছ, বিফ নাচোছ, ফিস অ্যান্ড চিপস তুমুল জনপ্রিয়। মিলোনোর এসব রেসিপি অধিক বিক্রিত।
মিলানোতে ২২ ধরনের পিৎজা পাওয়া যায়। পিৎজার অকৃত্রিম স্বাদ ধরে রাখতে থিন ক্রাস্টের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয় এখানে। ক্রাস্টটি পাতলা করতে হাতেই প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এর মধ্যে বারবিকিউ পিৎজা, পেরি পেরি পিৎজা, মিট লাভারস পিৎজা, পিৎজা পট পাই, ম্যাক্সিকান পিৎজা, ফোর সিজন পিৎজা, চিজি ওভার লোডেড খুব জনপ্রিয়। চার ধরনের স্টেক পরিবেশন করা হয়ে এই রেস্তোরাঁয়।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী দামে কন্টিনেন্টাল ফুড পরিবেশনে জন্য ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির সিস্টার কর্নসার্ন মিলানো এক্সপ্রেস। এখানে ১৪৯ টাকা থেকে শুরু করে ১০৪৯ টাকায় পিৎজা বিক্রি করা হয়। শিক্ষার্থীদের কাছে মিলানো এক্সপ্রেসও অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
মিলানো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রেস্তোরাঁটির আন্তর্জাতিক মানের রান্নাঘরে বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি বিদেশি সামগ্রী। এছাড়া ক্যাফে মিলোনোর খাবার তৈরির মসলাগুলোর ৭০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানিকৃত। স্বাস্থ্যকর পরিবেশের কথা মাথায় রেখে রেস্তোরাঁটির রান্নার বেশিরভাগ প্রক্রিয়া নির্ধারিত মেশিনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।