বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সার্কাস
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সার্কাসের রয়েছে দীর্ঘ এক ইতিহাস। এক সময় এটি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের বিনোদনের জনপ্রিয় মাধ্যম ছিল।
বাংলাদেশ সার্কাস মালিক সমিতির তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে ২৫ টি তালিকাভুক্ত সার্কাস দল রয়েছে। তালিকার বাইরে দেশে প্রায় ১০০ টিরও বেশি দল রয়েছে।
সার্কাসের একেকটি দলে কমপক্ষে ৮০ থেকে ১০০ জন লোক কাজ করে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রধান অভিনয়শিল্পী, সহকারি এবং সাহায্যকারী কর্মী।
দলের অধিকাংশ সদস্যই এই পেশায় বংশানুক্রমে এসেছেন, অথবা শৈশব থেকেই কাজ করছেন। স্ল্যাকলাইনিং, সাইক্লিং, অ্যাক্রোব্যাটিকস, ছুরির কসরত সহ আরও অনেক রকমের খেলা দেখানো হয় এসব সার্কাসে।
২০১২ সালে যখন আমি দেশজুড়ে সার্কাস শো দেখা শুরু করি, তখন থেকে সার্কাসের প্রতি আগ্রহ জন্মায় আমার। সার্কাস শিল্প যে এখন একটি কঠিন সময় পার করছে, এ বিষয়টি স্পষ্ট।
দলের লোকেরা আগের মতো উপার্জন করতে পারে না। এছাড়া, তাদের মধ্যে মাত্র কয়েকজনেরই সঠিক পোশাক এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।
এই পতনশীল/বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য আমাদের সংস্কৃতির একটি সমৃদ্ধ অংশ। সার্কাস বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারের সহায়তা এবং উদ্যোগ প্রয়োজন।
- প্রবাল রশিদ একজন বাংলাদেশি ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফার এবং ফটো সাংবাদিক। বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসিতে কর্মরত এ ফটো সাংবাদিক ফিলিপাইনের আতেনিও ডি ম্যানিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে কনরাড অ্যাডেনোয়ার এশিয়ান সেন্টার ফর জার্নালিজমের (এসিএফজে) ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ফটো জার্নালিজমে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা অর্জন করেছেন।