মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক আসলে একজন ভ্যাম্পায়ার!
মার্কিন ধনকুবের এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবক এলন মাস্ক সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় উদ্যোক্তা। বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে তাকে ঘিরে ভক্তদের জল্পনা-কল্পনা আর গুঞ্জনের কোনো শেষ নেই। বিশেষ করে ডিজিটাল দুনিয়ায় যেসব গুঞ্জন ফ্যান ওয়েবসাইট এবং ফোরামগুলোর পেজে দেখা যায়, তাদের জুড়ি মেলাই ভার।
কিছু গুঞ্জন আর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এমন আধুনিক বৈদ্যুতিক গাড়ির পথপ্রদর্শক মাস্ক নাকি একজন সময় পরিব্রাজক, কোনো ভিনগ্রহের মানুষরূপী প্রাণী বা ইউরোপীয় সংস্কৃতির খলচরিত্র এক রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার। অনলাইনে তাকে ঘিরে এমন শত শত আধি-ভৌতিক আলোচনা চলতেই থাকে। কিন্তু এবার সব গুঞ্জনের অবকাশ করেছেন মাস্ক নিজেই।
গত বুধবার এক টুইট বার্তায় স্বীকার করেছেন আসলে তিনি একজন ভ্যাম্পায়ার।
স্বীকারোক্তিটি আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন মাস্কের এক বুদ্ধিমান ভক্ত।
বুধবার মাস্ক এক টুইট বার্তায় জানান, তার মালিকানাধীন স্পেসএক্স কোম্পানির মহাকাশযান স্টারশিপ এসএন১ নির্মাণ নকশায় কিছু ত্রুটি ছিল, যা সঠিক পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা হয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গেই ওই টুইট বার্তাটি রিটুইট করেছেন মাস্কের এক ভক্ত। খবর এনডিটিভির।
'দ্য পোপ অব মাস্কানিটি' নামের ওই ভক্ত লেখেন, তুমি চাইলেই প্রথমে সঠিক নকশা করে অনেক সময় বাঁচাতে পারতে। কারণ তুমি একজন সর্বজ্ঞানী। তুমি কি সময় বাঁচানোর জন্য সময় পরিভ্রমণ করার কথা মাথায় রেখেছ?
ওই ভক্ত এরপর রীতিমতো শার্লক হোমসের কায়দায় মাস্কের মতোই দেখতে কানাডার এক ফাইটার পাইলটের ছবি রিটুইটে যোগ করেন। সেখানে ওই ভক্ত আরও লিখেছেন, ব্যাখ্যা করো, কেন তুমি ১৯১৪ সালে কানাডায় ছিলে? কেনই বা তখন তোমার নাম ছিল রেমন্ড কোলিশ আর পেশায় ছিলে একজন ফাইটার পাইলট?
এমন প্রমাণ ও শক্ত যুক্তি মোকাবেলার আর দুঃসাহস দেখাননি মাস্ক।
পরবর্তী সময়ে টুইটে তিনি লেখেন, 'আসলে সত্যি করেই বলি, আমি আসলে একজন তিন হাজার বছর পুরোনো ভ্যাম্পায়ার। এত সহস্র বছর ধরে বহু মানুষের পরিচয় ধারণ করেছি আমি, সত্যিই এটা খুব কঠিন এক কাজ।'
নেহাত মজা করে দেওয়া মাস্কের স্বীকারোক্তি নিয়েও পাল্টা কৌতুক চলছে ভক্ত মহলে। সঙ্গে অন্ধ অনুসারীদের দলতো আছেই। তারা কিন্তু এলন মাস্কের টুইটে মোটেই অবাক হননি। টুইট পোস্টটির মন্তব্য অংশে তাই অনেকেই লিখেছেন তারা এই সত্যিটা আগে থেকেই জানতেন।
এদিকে, মাস্কের চেহারার সঙ্গে যে বৈমানিকের চেহারার মিল ছিল, তিনি কানাডায় জন্মেছিলেন ১৮৯৩ সালে। রেমন্ড কোলিশ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান ধ্বংসে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।এমন সুদক্ষ পাইলটদের বলা হয় ফাইটার এস্। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোলিশ একজন কমান্ডার ছিলেন। অবসর গ্রহণের পর ১৯৭৬ সালে ভ্যাংকুবারে মারা যান।
রেমন্ড কোলিশের সঙ্গে মাস্ককে তুলনা করার ঘটনা এটাই কিন্তু প্রথম নয়। এই নিয়ে ২০১৭ সালে ইউটিউবে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়, আর মিডিয়াম ব্লগের একটি পোস্টের মতামত অংশেও এমন তুলনার পূর্ব উদাহরণ আছে।