গাঁজায় সারবে শিশুদের খিঁচুনি: গবেষণা
এক গবেষণায় উঠে এসেছে, শিশুদের খিঁচুনি রোগের চিকিৎসায় ব্রহ্মাস্ত্র হয়ে উঠতে পারে গাঁজা!
খিঁচুনি ওঠে মূলত মৃগী রোগে আক্রান্ত শিশুদের। রক্তে ক্যালসিয়াম বা শর্করার মাত্রা অত্যধিক বেড়ে গেলেও খিঁচুনি হয়। অনেক ধরনের খিঁচুনি আছে, যেগুলো বাজারে প্রচলিত ওষুধে সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না।
এবার সেই সমস্যা সমাধান করে দিতে পারে গাঁজা। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, গাঁজা গাছে যেসব রাসায়নিক যৌগ থাকে, তা বানানো এক ওষুধেই ভালো হয়ে যায় শিশুদের খিঁচুনি।
শিশুদের খিঁচুনি সারাতে ওষুধটি প্রায় ৯০ ভাগ সফল। অথচ জটিল ধরনের খিঁচুনি সম্পূর্ণ সারাতে বাজারে প্রচলিত ওষুধগুলো এর তিন ভাগের এক ভাগ সফল।
শিশুদের জটিল কয়েক ধরনের খিঁচুনি সারাতে আগামী দিনে আরও কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কারের পথ খুলে দিতে পারে এই গবেষণা।
গাঁজা গাছের সবগুলো রাসায়নিক যৌগ দিয়ে বানানো একটি ওষুধ নিয়ে এই গবেষণাটি চালিয়েছেন ব্রিটেনের একদল গবেষক। সেই যৌগগুলির মধ্যে যেমন রয়েছে সিবিডি, তেমনই রয়েছে তার্পিন, ফ্ল্যাভোনয়েড্স-এর মতো গাঁজা গাছে থাকা আরও কয়েকটি প্রধান যৌগ। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা 'বিএমজে পেডিয়াট্রিকস ওপেন'-এ।
শিশুদের খিঁচুনি সারাতে গাঁজা গাছের কোনো ভূমিকা থাকতে পারে কি না, তা জানার জন্য এর আগে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকায় কয়েকটি গবেষণা হয়েছিল। ওসব গবেষণায় জানা গেছে, গাঁজা গাছে থাকা বিশেষ যৌগ ক্যানাবিডায়অল (সিবিডি) দিয়ে কোনো ওষুধ বানানো হলে তা কয়েকটি ক্ষেত্রে শিশুদের খিঁচুনি সারাতে কিছুটা কার্যকরী হয়। তবে ড্র্যাভেট সিনড্রোম-এর মতো জটিল কয়েক ধরনের খিঁচুনি সারাতে ততটা কার্যকরী হয় না সিবিডি।
ব্রিটেনের গবেষকরা দেখেছেন, শিশুদের খিঁচুনি সারাতে এই যৌগগুলো সিবিডির চেয়ে বেশি কার্যকর হচ্ছে। শুধু সিবিডি দিয়ে বানানো ওষুধ বানানো যতটা কার্যকর, তার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর হচ্ছে গাঁজা গাছে থাকা তার্পিন, ফ্ল্যাভোনয়েডসের মতো অন্য কয়েকটি যৌগ দিয়ে বানানো ওষুধ।
- সূত্র: সায়েন্সঅ্যালার্ট ডটকম