ভারতবর্ষের উদ্যান আশ্চর্যজনকভাবে হাজারো বছরের প্রাচীন, শিকড় বিস্তৃত বহু শাসনামল ছাড়িয়ে
দেশের নগরগুলোয় দিন দিন উধাও হচ্ছে খেলার মাঠ। আর উদ্যান- সে তো হাতেগোনা। কংক্রিটের ধাবমান দৈত্যের ভিড়ে কোনোমতে টিকে আছে। দালানের রাজত্বে বিপন্ন শেকড়ের বন্ধন। অথচ নাগরিক জীবনে এক চিলতে স্বস্তির পরশ আনে নগর উদ্যানের অস্তিত্ব।
চারপাশে দূষণ ও প্রকৃতি বিনাশ যত বাড়ছে, ততই গুরুত্ব বাড়ছে নগর উদ্যানের। নাগরিক মেলামেশা, অনুষ্ঠান, উৎসবের কেন্দ্র হয়ে উদ্যানগুলো এক সজীব প্রাণস্পন্দনের সৃষ্টি করেছে। তবে আমাদের দখল-নির্মাণের নেশায় আজ তারা বিপন্ন। আর এক টুকরো জমিও যখন দামি, তখন ব্যক্তিগত উদ্যানের 'মিনি' সংস্করণ আজ ঠাঁই পেয়েছে কারো কারো ছাদে। সরকারি উদ্যান ছাড়া রাজধানী ঢাকার মতো ধূসর শহরে আজ সবুজের বড় অভাব।
নাগরিক কল্যাণে উদ্যান ও বাগিচার ভূমিকা কতখানি, আমরা সহজেই বিস্মৃত হচ্ছি। শহরে জাদুঘর ও থিয়েটারের মতো জনপরিসর থাকলেও সেখানে রয়েছে অর্থের যোগ। অথচ বেশিরভাগ উদ্যানে প্রবেশে বিনামূল্যেই প্রবেশ করা যায়। সব বয়স, সব শ্রেণির মানুষের জন্য প্রকৃতির দুয়ার উন্মুক্ত রাখাই নগর উদ্যানের ঐতিহ্য।
প্রাকৃতিক স্বর্গের এই নির্মল পরিবেশে সকাল-বিকেল ছুটে আসেন স্বাস্থ্যমোদীরা। শরীরচর্চা বা খেলাধুলায় উদ্যানই শিশু-তরুণ সকলের পছন্দের জায়গা। সবার জন্যই স্বস্তির পরশ আনে তারা। পরিবার ও স্বজন সহকারে উদ্যান ভ্রমণ, বন্ধুদের আড্ডাবাজি বা রাজনৈতিক বিতর্কের আয়োজন- উদ্যান কাউকেই ফেরায় না শূন্য হাতে। প্রেমী-যুগল হোক বা নিঃসঙ্গ কবি- উদ্যানেই তারা খুঁজে পায় একান্ত মুহূর্ত।
এই সর্বজনীন আবেদনই ইঙ্গিত দেয় ভারতীয় উপমহাদেশে নগরবাসীর জীবন ও আত্মার সাথে উদ্যানের যোগ বহু প্রাচীন। এই ইতিহাস যেমন বৈচিত্র্যের, তেমনি বহু সংস্কৃতি জুড়ে তার বিস্তার। এমনটাই জানান ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার দক্ষিণ এশিয়া অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দাউদ আলী। মুষ্টিমেয় যে কয়জন ঐতিহাসিক প্রাচীন ভারতে নগর উদ্যান বা বাগিচা নিয়ে গবেষণা করেছেন আলী তাদেরই একজন।
তিনি ইতিহাসে খুঁজে উদ্যান ঘিরে রাজসভায় পারিষদদের লেখা সংস্কৃত ভাষার কবিতা ও নাটক আবিষ্কার করেছেন। এগুলো ছাড়াও রয়েছে উৎকীর্ণ শিলালিপি ও চুক্তির উল্লেখ, যেখানে ছিল কিশলয়ের কথা।
অধ্যাপক আলী এসব প্রাচীন লিপি বিশ্লেষণ করে প্রমাণ পেয়েছেন, ৫ম শতকের গুপ্ত সাম্রাজ্যের নগরবাসীর জীবনেও মহার্ঘ্য ভূমিকা রেখেছে সেকালের বাগ-বাগিচা।
প্রাচীন এ ভারতীয়দের মধ্যে যারা অভিজাত, তাদের ছিল ব্যক্তিগত উদ্যান। নিজস্ব উদ্যানেই নানান উৎসব আয়োজন করতেন তারা। ঋতুর পরিবর্তন স্পষ্ট বোঝা যায় উদ্যানেই। ঋতু চক্রের এ পালাবদলই ভারতীয় অনেক উৎসবের অনুপ্রেরণা, যা সেকালেও ছিল।
আদি ভারতের এমন একটি উল্লেখযোগ্য উৎসবই ছিল- বসন্ত উৎসব (ভাসান্ত উৎসবা)।
বসন্তেই বছরের শুরু, যার আগমনে বাহারি রঙের সাজ সাজ ছোঁয়া লাগে প্রকৃতিতে। এই মৌসুমকে প্রেম ও মোহের সাথেও যুগে যুগে এক করে দেখেছেন কবিরা। উদ্যানের নানাবিধ ফুলের সমারোহে সেখানে আয়োজিত উৎসবও পেত নতুন মাত্রা।
অধ্যাপক দাউদ আলী প্রাচীন বহু নথি বিশ্লেষণ করেন, যার মধ্যে অন্যতম মহাকবি কালিদাসের লেখনী। যেখানে কবি- যুবরাজ, অভিজাত শ্রেণি ও রাজ পারিষদদের 'কাম দেব' বা প্রেম দেবতার সম্মানে উদ্যানে আয়োজিত উৎসবে যোগদানের কথা লিখেছেন।
পুরো বছর জুড়ে উদ্যানে নানান ধরনের ক্রীড়াতেও অংশ নিতেন অভিজাতরা। সেগুলো কীভাবে খেলা হতো- তা কালের পরিক্রমায় হারিয়ে গেলেও নামগুলো ছিল চমৎকার। সংস্কৃত থেকে ভাষান্তরিত এমন কিছু খেলার নাম- 'ডালভাজা খেয়ে পদ্মে চলন', 'নতুন পাতার খেলা', 'আম পাতার মুকুলে ক্রীড়া' এবং 'গাছে লাথি মেরে অশোকা ফুল মাথায় পড়ার খেলা' ইত্যাদি।
উদ্যান মানেই শুধু খেলার জায়গা নয়, অভিজাতদের জীবনে এর আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্যও ছিল অপরিসীম। যেমন সুশোভিত উদ্যানের মাধ্যমেই স্বর্গের আলোচনা এসেছে ভারতীয়দের ধর্ম ভাবনায়। বিশেষ করে, বৌদ্ধ ধর্মে ছিল এমন বিশ্বাসের গভীরতা। সে সময়ে প্রাচীন ভারতের নগরগুলোয় ছড়িয়ে পড়ছিল এই ধর্ম। তারই প্রভাব এসে পড়ে উদ্যান চর্চায়।
অভিজাতদের ব্যক্তিগত বাগানে প্রায়ই বিশ্রামের জন্য আশ্রয় নিতেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। অনেক সময় সেখানেই তারা সমবেত সাধারণ জনতার মাঝে গৌতম বুদ্ধের বাণী প্রচার করতেন।
বৌদ্ধ ধর্মের মহাবিশ্ব দর্শনেও ছিল উদ্যানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। অধ্যাপক আলী এমন কিছু উদ্যানের ছবি আবিষ্কার করেছেন যাতে ছিল বৌদ্ধদের বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ধারণা অনুসারে সাজানো গাছের সাড়ি।
পরিতাপের বিষয়, কালের পরিক্রমায় প্রাচীন এসব উদ্যানের অবশিষ্ট প্রায় কিছুই নেই আর। তবে এখনও কোনো কোনোটির সন্ধান পাওয়া যায়। যেমন শ্রীলঙ্কায় প্রত্নতাত্ত্বিকরা এমন কিছু উদ্যানের সন্ধান পেয়েছেন যেগুলো অন্তত খৃষ্টপূর্ব ১০০০ সালের। এগুলোকে বিশ্বের প্রাচীনতম উদ্যান বলে তারা উল্লেখ করেছেন।
সিংহলী রাজা কশ্যপ (রাজত্বকাল ৪৭৭-৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দ) পরবর্তীকালে এসব উদ্যান ঘিরে তার রাজধানী সিগিরিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একটি শক্তিশালী দুর্গও নির্মাণ করেছিলেন সেখানে। আজও সিরিগিয়া এক দৃষ্টিনন্দন পর্যটন এলাকা, যেখানে আশেপাশের সমভূমি থেকে ২০০ মিটার উঁচুতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় প্রাচীন সে রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ।
১৯৮০-র দশকে সিরিগিয়ায় ব্যাপক অনুসন্ধানের কাজ চালান পুরাতাত্ত্বিক সেনাকে বন্দরনায়েকে। তিনি সে সময় তার প্রতিবেদনে লিখেছেন, "এখানে আমরা চার ধরনের উদ্যান ব্যবস্থার নিদর্শন খুঁজে পেয়েছি: জল উদ্যান, বোল্ডার বা ভারি শিলার উদ্যান, উঁচু চত্বরের উদ্যান এবং প্রস্তরশীলার চূড়ায় স্থাপিত উদ্যান।"
প্রতিটি উদ্যানের ব্যবস্থাপনা প্রকৌশল ছিল লক্ষ্যণীয়। ছিল তাদের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতো নালা, খাল, জলপ্রপাত, সুশোভিত চত্বর এবং কৃত্রিম দ্বীপ।
বন্দরনায়েকের ভাষায়, "বিভাজিত ব্যবস্থার এই মণ্ডলী প্রাচীন উদ্যান বিজ্ঞানের একটি পরিচিত বৈশিষ্ট্য। তাদের মধ্যে সিরিগিয়ার নিদর্শনটি আবার সবচেয়ে প্রাচীনকালের যে স্থানগুলো আজো টিকে আছে, তার অন্তর্ভুক্ত।"
তবে প্রাচীন ও মধ্যযুগের উদ্যানগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত হলেও, কিছু ব্যতিক্রম সেকালেও গণ-উদ্যানের অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়।
এমন উদ্যানকে 'চ্যারিটেবল গার্ডেন' বা 'দাতব্য উদ্যান' বলে উল্লেখ করেছেন ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটির শিল্প ইতিহাসের অধ্যাপক ফিলিপ বি ওয়াগনার।
১৬ শতকে তেলেগু ভাষায় লেখা 'ইয়াত্রী চারিতমু' বা 'যাত্রীর গল্প' শীর্ষক একটি বইয়ে তিনি এ ধরনের উদ্যানের উল্লেখ খুঁজে পান। এটি মহাভারতের একটি খণ্ডের উপর ভিত্তি করে রচিত।
বইটির পৃষ্ঠপোষকতা করেন দাক্ষিণাত্যের কুতুব শাহী দরবারের এক অভিজাত পারিষদ আবদ আল-কাদির আমিন খান। বইটিতে আমিনের নিজ জীবনের নানান দিক জীবনচরিত মূলক পদ্মের ছন্দে তুলে ধরা হয়।
আমিন খানের বাগানে ছিল ৩০ ধরনের উদ্ভিদের সমাহার। ছিল অনেক ফলগাছ। বাগানে আসা দর্শনার্থীদের ফলসহ অন্যান্য খাদ্য পরিবেশিত হতো। বাগানে আরও ছিল সুগন্ধি অনেক ফুল গাছ। এই ফুল ঔষধি, উত্তম সুগন্ধি ও অন্যান্য পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা যেত।
বাগানটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য ছিল তখন পর্যন্ত ভারতে সম্পূর্ণ বিদেশি- এমন জাতের গাছের সমাহার। যেমন- কাঠবাদাম ও আনারস চাষ। বাগান যে নতুন উদ্ভাবন ও পরীক্ষার কেন্দ্রও ছিল এ ঘটনা তারই প্রমাণ।
প্রাচীন উদ্যান বাগিচারা হারিয়ে গেছে সত্য, কিন্তু সাহিত্য ও সীমিত সংখ্যক কিছু শিল্প চিত্রের মাধ্যমে আজো তাদের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানছেন গবেষকরা।
তবে ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে শানদার উদ্যানের রচয়িতা ছিলেন মোগল শাসকেরা। তাদের বাগানশৈলী আজও মুগ্ধতা ও বিস্ময়ের সৃষ্টি করে চলেছে। মলিন হলেও আজও টিকে আছে এমন অনেক উদ্যান।
বাবরের বাগান:
প্রাসাদ গড়ে নয়, শুরুতে উদ্যান গড়েই ভারতে নিজ শাসনের শেকড় স্থাপন করেছিলেন প্রথম মোগল বাদশা জহির উদ-দ্বীন মুহাম্মদ বাবর। একাজে তার অনুপ্রেরণা ছিল হেরাত ও সমরকন্দের অভিজাতদের উদ্যানশৈলী। তার আত্মজীবনী 'বাবুরনামা'য় বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।
১৫২৬ সনে আগ্রায় যমুনা নদীর পাড়ে প্রথম উদ্যান গড়েন বাবুরের স্থপতিরা। চার ভাগে বিভক্ত এ বাগানকে তিনি নাম দেন চাহারবাগ, যা আজ চারবাগ নামে পরিচিত।
ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার মোগল শিল্প ও স্থাপত্যের বিখ্যাত বিশেষজ্ঞ এবা কোচ লিখেছেন, "স্থাপত্যে গুরুত্বদান এবং সুপরিকল্পনা মোগল উদ্যানের সবচেয়ে উজ্জ্বল বৈশিষ্ট্য।"
বাবুরের হাত ধরেই মোগল উদ্যানশৈলীর এমন কিছু বৈশিষ্ট্যের সূচনা হয়, যা তার উত্তরসূরীদের স্থাপনাতেও দৃশ্যমান ছিল। যেমন উদ্যানের মাঝে বাধানো চলার পথ, উঁচু প্লাটফর্ম, সরোবর, আঙিনা, পাহাড়ি ঢাল এবং পাথরে খোদাই করা নানান নকশা।
অনেক সময় সম্রাটরা প্রাসাদের বদলে উদ্যানেই রাজসভা আয়োজন করতেন। এখানে প্রজা ও অভিজাতরা এসে তাদের আনুগত্য জানাতে পারতেন। উদ্যানে তাঁবু টানিয়ে বা গাছের ছায়ায় সভাসদদের নিয়ে মনোরঞ্জনের নানান আয়োজনও উপযোগ করতেন বাদশাহ।
স্থানীয় প্রভাবে মোগলদের উদ্যানশৈলীও নকশা ও অলঙ্করণে মধ্য এশিয়ার ধাঁচ থেকে আলাদা হতে থাকে। বাবরের শুরুতে তৈরি কিছু উদ্যান যার শৈলী আজও অবিকৃত তাদের সাথে তার পরের সময়ে তৈরি করা উদ্যানের তুলনা করলেই পার্থক্যগুলো স্পষ্ট হয়।
১৯৭০-র দশকে মোগল উদ্যান জরিপের সময় ঢোলপুরে বাবুরের তৈরি এমন এক উদ্যানের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন ঐতিহাসিক এলিজাবেথ মোয়নিহান। 'লোটাস গার্ডেন' বা 'পদ্মবাগ' নামের এ উদ্যান স্থানীয় বালুশিলা কেটে তৈরি। তবে এর আসল মোগলাই নাম ছিল 'বাগ -ই- নিলুফার'।
বাবরের চারভাগে বিভাজিত বাগানের নকশা থেকে অনেকটাই ভিন্ন ছিল 'বাগ –ই- নিলুফার'। তার বদলে এটি পদ্মাকৃতির জলাশয়ের আদলে গড়া হয়।
ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচার বিষয়ে এমআইটির ইমিরেটাস অধ্যাপক জেমস এল ওয়েস্টকোট লিখেছেন, "ঢোলপুরের স্থাপনাটি সামান্য শিবির থেকে অনন্য এক মোগল উদ্যান রুপে গড়ে ওঠে। এতে ঘটেছে মধ্য এশিয়ার জলজ শৈলীর সাথে রাজপুত ও গুজরাটি স্থাপত্যের সংমিশ্রণ।"
বাবুরের উত্তরসূরীরা মোগল উদ্যানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান। তাদের নগর পরিকল্পনার কেন্দ্রেই থাকতো উদ্যান। ১৫৫৮ সালে সম্রাট আকবর যখন আগ্রায় রাজধানী সরিয়ে আনেন, তখন যমুনার দুই পাড়কে উদ্যানে সাজিয়েছিলেন তিনি।
আকবরের বিখ্যাত লাল বালুপাথর কেটে নির্মিত আরেক দুর্গ রাজধানী ফতেহপুর সিক্রির চারপাশেও ছিল উদ্যান। আর শহরের ভেতরে ছিল সম্রাট ও পারিষদদের নিজস্ব বিনোদনের উদ্যান।
কাশ্মীরের বিস্ময়:
আগ্রা, দিল্লি আর লাহোরকে অসংখ্য বাগানে সাজালেও মোগল উদ্যানের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত হলো কাশ্মীর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এ উপত্যকার সব রূপ যেন উপচে পড়েছে সেখানে। যেমন- শ্রীনগরের শালিমার বাগে ৪ হাজারের বেশি প্রজাতির ফুলগাছ ছিল বলে জানা যায়।
এই উদ্যান স্থাপন করেন চতুর্থ মোগল বাদশাহ জাহাঙ্গীর। তিনি প্রকৃতিপ্রেমিক বলে পরিচিত ছিলেন। তার জীবনী জাহাঙ্গীরনামায় অনেক ফুল, উদ্ভিদ আর জলাধারের নিখুঁত বর্ণনা রয়েছে।
- সূত্র: স্ক্রোল ডটইন অবলম্বনে