অ্যাম্বুলেন্স ও যাত্রী নিয়ে সীমিতভাবে ফেরি চলছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে
সরকারিভাবে দিনেরবেলায় ফেরি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সীমিতভাবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলমুখী মানুষের ভিড়ে মুখরিত এখন পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা। যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেল করে দেশের নানা প্রা্ন্ত থেকে ঘাট এলাকায় এসে নৌরুট পারাপার হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে এসব যাত্রীরা।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে যাত্রী ও যানবাহন বোঝাই করে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ৮ থেকে ১০ টি ফেরি। প্রতিটি ফেরিতেই ৩ থেকে ৪'শ করে যাত্রী পারাপার হতে দেখা যায় সরেজমিনে।
ফেরিঘাট এলাকায় আলাপ হলে আকবর হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, রাতে ফেরি চলাচল বন্ধের বিষয়ে অবগত না হয়ে পরিবার নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে এসে পৌছান তিনি। সকাল ১০ টার দিকে কয়েক'শ যাত্রী নিয়ে মাধুবীলতা ফেরি পাটুরিয়া ছেড়ে গেলেও ওই ফেরিতে উঠার সুযোগ পাননি তিনি।
আব্দুর রহিম নামে এক এ্যাম্বুলেন্স চালক বলেন, মানুষের ভিড়ে ফেরিতে উঠা দায়। মাধুবীলতা ফেরি পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া চলে গেলেও যাত্রীদের ভিড়ে ওই ফেরিতে উঠার সুযোগ পাননি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরী পণ্যবাহী ট্রাক এবং ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি পারাপার করার জন্য তিনটি ফেরি নৌরুটে চলাচল করছে। নৌরুট এলাকায় যাত্রীদের প্রচুর চাপ রয়েছে।
মহাসড়ক থেকে যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ফেরিঘাট এলাকা থেকে যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
ফেরিঘাট এলাকায় আলাপ হলে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান বলেন, জেলা ভিত্তিক বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। এছাড়াও মোটর সাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ঘাট এলাকায় এসে জমায়েত হচ্ছে ঘরমুখো যাত্রীরা। জরুরী যানবাহন পারাপার করার জন্য ঘাট কর্তৃপক্ষ ২/৩টি ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রেখেছে। এই ফেরিগুলো করে যাত্রীরা নৌরুট পারাপার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।