আবরার হত্যাকারীরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী হলেও প্রধানমন্ত্রী তাদের ছাড় দেননি: ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চায় না।
‘আমরা চাই বিরোধী দল গঠনমূলক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুক। আমরাও তাদের প্রতি অনেক সহনশীল’-- মন্ত্রী বলেন।
শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ঘাট এলাকায় পুরাতন মেঘনা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের সংস্কারকাজ পরিদর্শনে এসে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
জাতীয় সংসদে বিএনপির ৭ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য থাকার পরও একজনকে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টির উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে যা-খুশি-তাই বলছেন। বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করছেন। তাদের কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না।’
বিরোধী দলের সঙ্গে যে সহনশীল আচরণ করা হচ্ছে, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় রয়েছে বলেই সেটি সম্ভব হচ্ছে বলে মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জানান।
সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আবরার হত্যাকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে ছাড় দেওয়া হয়নি।’
শুদ্ধি অভিযানে যারা টার্গেটে রয়েছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সহযোগী যেসব সংগঠনের মেয়াদ সাত-আট বছর পেরিয়ে গেছে সেগুলোর সম্মেলন নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান তিনি। সম্মেলনে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে নেতৃত্ব গঠন করতেও বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে চেইঞ্জ-মেকার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি মন্তব্য করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সব সময় সম্মেলনের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন নবীন ও প্রবীণদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে থাকেন। আওয়ামী লীগের সম্মেলন নির্ধারিত সময়ে হলে সেখানেও নবীন-প্রবীণের সমন্বয় ঘটবে।’
সম্মেলনের মাধ্যমে দলে অনেক নতুন মুখের জন্য অবস্থান তৈরি হবে বলেও মনে করেন মন্ত্রী।