করোনা সংক্রমণের সাথে বেড়েছে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা ও মানুষের চলাচল
দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের ৮ম দিনে রাস্তায় গাড়ি ও মানুষের চলাচল অন্যদিনের থেকে বেড়ে গেছে।
রাজধানীর ফার্মগেট, কাওরানবাজার, পান্থপথ, বাংলামোটর, শাহবাগসহ বেশ কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখা যায় সকাল থেকেই বাড়তে থাকে প্রাইভেটকার, মাইক্রো ও রিক্সার চলাচল। কয়েকটি স্থানে কিছু সময়ের জন্য যানজটও দেখা যায়।
একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন শাহাদাত হোসাইন। কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন থেকে ছিল অফিস বন্ধ। গতকাল থেকে আবার তাদের অফিস চালু হয়েছে।
তিনি টিবিএসকে বলেন, "করোনা ও লকডাউনের পরিস্থিতি এবং বিধিনিষেধের কারণে ক'দিন অফিস বন্ধ ছিল। ৫০ শতাংশ করে লোকবল ভাগ করে দিয়ে আবার শুরু হয়েছে অফিস। তবে বাইরের সবাই জানে অফিস বন্ধ"।
রিক্সা আরোহী নাজমা খানম বলেন, "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোগী ভর্তি আছে, তাই ফার্মগেট থেকে রিক্সা ভাড়া দ্বিগুণ দিয়ে যেতে হচ্ছে"।
ছোট ছোট গলিগুলোতেও দেখা গেছে মানুষের আনাগোনা। কেউ কেউ দোকান অর্ধেক খুলে বিক্রি করছেন। এছাড়া হোটেলগুলোর সামনে ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। বাংলামোটরের পাশের গলির একটি হোটেলের কর্মচারী সুমন টিবিএসকে বলেন, "অন্য সময়ের চাইতে লকডাউনের মধ্যে সকালের নাস্তা বেশি বিক্রি হয়। হোটেলে বসে খেতে না পারলেও সবাই পার্সেল নিয়ে যায় তাই ভিড় থাকে"।
কারওয়ান বাজার মোড়ে দায়িত্ব পালন করা সার্জেন্ট মো. আশিকুর রহমান বলেন, "সকাল থেকে কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারা মোড়ে ৬/৭ টা মামলা হয়েছে। যারা বিনা কারণে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন তাদেরকে এবং যারা নিয়ম মানছেন না গাড়ি চালানোয় তাদেরকে মামলা দেওয়া হচ্ছে"।
অন্য দিনের থেকে আজ গাড়ির চাপ বেশি বলেও জানান তিনি।
জরিমানা করা এক প্রাইভেটকার চালক মো. সেলিম বলেন, "আমি এয়ারপোর্ট থেকে যাত্রী নিয়ে এসেছি। ভাড়ায় চালানোর কারণে আটক করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা কিংবা যাওয়া যাত্রীদের চলাচলের অনুমতি আছে তবু আমার গাড়ি আটক করা হয় এবং এখন জরিমানাও দিতে হবে"।