চট্টগ্রাম বন্দর বৈশ্বিক সূচকে ছয় ধাপ এগিয়ে এখন ৫৮তম স্থানে উন্নীত: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, 'করোনা মহামারির মধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ বন্দর যখন বন্ধ ছিল, সরকার তখন দেশের লাইফলাইন খ্যাত চট্টগ্রাম বন্দর চালু রেখেছে। বন্দর চালু রাখতে গিয়ে প্রায় ১৫০ বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নয়জন মারা গেছেন। তারপরও এ বন্দর একদিনের জন্যও বন্ধ রাখিনি।'
'কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম বন্দর বৈশ্বিক সূচকে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে ছয় ধাপ এগিয়ে এখন ৫৮তম স্থানে উন্নীত হয়েছে। এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৬৪তম', বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি শনিবার দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পুলহাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের চারতলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন শেষে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'করোনার কারণে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ থাকায়-আমাদের অর্থনীতি যতটা না ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আমাদের ভবিষ্যৎ তারচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সরকার অনলাইন পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখলেও পাঁচমাস ধরে গৃহবন্দি এসব শিক্ষার্থীর মানসিক পরিবর্তন আসতে পারে বলে আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।'
করোনা আতঙ্ক কেটে গেলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী । তিনি বলেন, 'করোনার সময়ে সারাদেশে সবার জন্য সমান চিকিৎসা চালু রেখেছে সরকার। করোনায় বিশেষ কারও জন্য আলাদা হাসপাতাল তৈরি হয়নি। করোনার প্রতিষেধক টিকা নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ চলছে।'
'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, পৃথিবীর সকল মানুষ যেন এ প্রতিষেধক টিকা পায়', উল্লেখ করেন তিনি।