জেলা হাসপাতালগুলোতে শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি
খুলনায় হাসপাতালগুলোতে ধারণক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি থাকছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে দেখা দিয়েছে অক্সিজেন সংকট।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। যে কারণে শয্যা বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। ৩০টি শয্যা বাড়ায় হাসপাতালটি এখন ১৩০ শয্যাবিশিষ্ট করোনা হাসপাতালে পরিণত হয়েছে।
তিনি জানান, রবিবার ১৩০ বেডের হাসপাতালে ১৬০জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এছাড়া ২০টি আইসিইউ বেডও রোগীতে পরিপূর্ণ। একটি বেড খালি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরেকজন রোগী সেখানে দেওয়া হচ্ছে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য ৭০টি সাধারণ শয্যা রয়েছে। এখানে কোনো আইসিইউ নেই। রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এ হাসপাতালে ৬৮ জন রোগী ভর্তি ছিলেন।
বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সত্ত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, এ হাসপাতালে ৯টি আইসিইউসহ ১০০টি জেনারেল বেড রয়েছে। রবিবার এ হাসপাতালে আইসিইউর ৯টি বেডসহ ৮৮জন রোগী ভর্তি ছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালের প্রধান সমস্যা হচ্ছে, অক্সিজেন সংকট। আমাদের যারা অক্সিজেন সাপ্লাই দেন, তারা সময়মতো অক্সিজেন সাপ্লাই দিতে পারছে্ন না।
খুলনার মত রাজশাহীতেও হাসপাতালগুলোতে রোগীদের জায়গা দেয়া যাচ্ছে না। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ৩৫৭ বেডের বিপরীতে রোববার চিকিৎসাধীন ছিলো ৪৩৪ জন। অতিরিক্ত রোগীদের মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানি বলেন, রোগীর চাপ সামলাতে আরেকটি কোভিড ওয়ার্ড বাড়ানো হয়েছে। ৪৮ বেডের ১৪ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে অক্সিজেন লাইন বসিয়ে কোভিড ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হয়েছে।