পিপলস লিজিং পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশ হাইকোর্টের
পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে (পিএলএফএসএল) পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য একটি বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন আদালত।
প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের অর্থ আত্মসাতের মামলা তদন্ত করার সময় প্রতিষ্ঠানটির নাম আলোচনায় আসে।
প্রতিষ্ঠানটির ২০১ জন আমানতকারীর আবেদনে শুনানির পর আজ সোমবার এ আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।
হাইকোর্টের আদেশে গঠিত কমিটিতে কারা কারা থাকবেন, তা লিখিত আদেশে জানানো হবে।
আমানতকারীদের আইনজীবী হিসেবে শুনানি করেন আহসানুল করিম। বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী ছিলেন মেজবাউর রহমান। পিএলএফএসএলের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।
এর আগে গত সপ্তাহে পিএলএফএসএল-কে পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১ জন আমানতকারী হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন।
পি কে হালদার বর্তমানে বিদেশে আছেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) আড়াই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়াও, ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তে আইএলএফএসএল পরিচালকদের বিশাল দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে। এম মোয়াজ্জেম হোসেন চেয়ারম্যান থাকাকালীন ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আইএলএফএসএল পরিচালকরা নানাভাবে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। পরে ২০০১৫ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ বোর্ড সদস্যকে অপসারণ করে।
২৭ জুন অর্থ মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অবসায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেয়। ওই চিঠিতে অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িত পিএলএফএসের সকল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের করারও নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ২১ মে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়ে পিএলএফএস-এর অবসায়ন চেয়েছিল। এর পরই এল এই আদেশ।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরের শেষে পিএলএফএস-এর মোট লোকসান দাঁড়িয়েছে ২৩২৪ কোটি টাকায়। প্রতিষ্ঠানটির মূলধন ঘাটতি ঠেকেছে ২০১৩ কোটি টাকায়। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পিএলএফএস-এর ৭৯৮ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে।