পিলখানা হত্যাযজ্ঞের ১১ বছর: হত্যা মামলা শেষ পর্যায়ে
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত হয় এক নির্মম হত্যাযজ্ঞ। বিপথগামী কিছু বিডিআর সদস্যের হাতে প্রাণ হারান তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা।
পিলখানায় স্বজনের কাছে বেড়াতে আসা নারী ও শিশুসহ আরও ১৭ জনকেও এ সময়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এছাড়া ব্যাপক লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে লালবাগ থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে শেষ হলেও বিস্ফোরক আইনে হওয়া মামলা এখনো ঝুলছে। রাষ্ট্রপক্ষের এক হাজার ৩৪৫ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ১৪৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৮ মার্চ।
হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয়। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন। মামলাটিতে হাইকোর্টের আপিলের রায়ও হয়ে গেছে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর।
অন্যদিকে, ২০১০ সালে হত্যা মামলার সঙ্গেই বিচার কাজ শুরু হওয়া বিস্ফোরক মামলায় আসামি রয়েছেন ৮৩৪ জন। ধারণা করা হয়, মাঝ পথে রাষ্ট্রপক্ষ হত্যা মামলাকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় বিস্ফোরক মামলাটির বিচারকাজ শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে।